একজন মানুষ একটা কঠিন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে দু বছর হাসপাতালের বিছানাতে শুয়ে আছে। তিনি এই জীবন টা পার করছে কষ্ট ক্লেশের মধ্য দিয়ে। একজন বন্দী সে জীবনে পৃথিবীর আলো বাতাস থেকে বঞ্চিত হয়ে বন্ধ ঘরে কষ্টের জীবন পার করছে।একজন অন্ধ সে অন্ধত্ব জীবন নিয়ে কষ্টের ভেতর দিন পার করছে,যাকে কেউ খেতে দিলে খেতে পারে।দয়ার উপর বেঁচে থাকতে হচ্ছে।পৃথিবীর মানুষ কে কঠিন জীবন পার করতে হচ্ছে। পানির হাহাকার, খাদ্যের হাহাকার, চিকিৎসার অভাব,অর্থসম্পদের অভাব,দারিদ্র্য সীমা নিচে থাকা দেশের মানুষের খাদ্যের অভাবে বুকের পাজর দেড়িয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে। মানুষকে হাজারো রকম কষ্টের ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে।আপনি যেমন কোন কষ্টের ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন, অন্য কেউ অন্য কোন কষ্টের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। শুধু আপনিই যে হাজারো রকম কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছেন বিষয়টা এমন না, অন্য কেউ কোন কষ্টের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে না বা যাবে না এমন ভাববার ও কারণ নেই। মানুষ কে কষ্টক্লেশ বইবার ক্ষমতা দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে। আমাদের রব কতই না মহান। আমরা যদি আমাদের রবের দিকে এক পা এগিয়ে যাই, রব আপনার দিকে হেঁটে আসে। তখন, আপনি ও আপনার রব এর মাঝে দূরত্ব কমে আসে এবং শয়তান সেখান থেকে দূরে সরে যায়।তার দেওয়া অশান্তির দেওয়াল ভেঙে পড়ে। সে খানে শান্তি স্থাপন হয়। রব বান্দার প্রতি খুশি হয়। রব বান্দার প্রতি খুশি হওয়া মানে বান্দার সব বিষয়ে সহজ হয়ে যাওয়া, সর্বদা তার মন প্রফুল্ল হয়ে উঠা।এভাবে শয়তানের সকল প্রাচীর যদি ভেঙে যায় শয়তানের দেওয়া অশান্তি যদি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তাহলে কি রইল? শান্তি, রবের পক্ষ থেকে কল্যাণ। আর রবের কল্যাণ নিয়ে যদি আপনি আপনার শিক্ষা-দীক্ষা, কর্মক্ষেত্র, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন রক্ষা করতে পারেন তবে রব ও তার সৃষ্টিকূল দিয়ে আপনাকে বরকত ও রহমত দিয়ে ভরিয়ে দিবে।সবাই আপনাকে সাহায্য করবে।কারণ রব সবইত মুমিন মানুষের কল্যাণের জন্যই সৃষ্টি করেছেন।আপনার শান্তির কল্যাণের জন্যই তারা নিয়োজিত। আপনি, আপনার পরিবার সুখী অনুভব করবেন, প্রশান্তি অনুভব করবেন। এভাবে যদি আপনি আপনার জীবন পরিচালনা করতে পারেন তবে শয়তান তার অশান্তি নিয়ে সদলবলে আপনার জীবন থেকে দূর বহুদূরে চলে যাবে। আর আপনি পাবেন প্রশান্তিময় সুন্দর জীবন। যার সুবাতাস তো কেবল জান্নাতেরই।
মাইদুল ইসলাম ইরাত ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার ধানীখােলা গ্রামে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। লেখকের বাবার বাড়ী ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার ধীতপুর গ্রামে। লেখকের শৈশব ও কৈশাের কেটেছে। ধীতপুর গ্রামেই। আনন্দমােহন কলেজ, ময়মনসিংহ থেকে তিনি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতােকত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এস.সি. টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন । পড়তে বেশি ভালােবাসেন। পেশাগত কাজের ফাকে বই পড়েন, লিখতেও পছন্দ করেন। নানান ধরনের বই সংগ্রহ করেন। লেখালেখি নিয়ে ভাবতে পছন্দ করেন তিনি।