লাব্বী আহসানের বেড়ে ওঠে রংপুরে। পড়াশোনা করেছেন রংপুর জিলা স্কুলে। রংপুর সরকারি কলেজ থেকে ২০২০ সালে এইচএসসি পাশ করেন তিনি। এরপর ফুল ফ্রি স্কলারশিপ নিয়ে ভর্তি হন ব্রাক ইউনিভার্সিটিতে। ক্লাস ফাইভে পড়া অবস্থায় স্কুলের বড় ভাইদের মুখে গণিত অলিম্পিয়াডের নাম শোনেন। তখন থেকেই সহশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ততা শুরু। এরপর থেকে দেশের প্রায় সবরকম জাতীয় প্রতিযোগিতায় তার জন্য পুরস্কার একরকম নির্ধারিত থাকত। মার্কস অলরাউন্ডার থেকে শুরু করে ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ এবং রচনা প্রতিযোগিতা থেকে জাতীয় স্পেস কার্নিভাল—সব প্রতিযোগিতায়ই পেয়েছেন পুরস্কার। আর এসব পুরস্কারই তাকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। দেখিয়েছে নতুন কিছু সৃষ্টির স্বপ্ন। ছোটবেলা থেকেই নিজে কিছু করার আগ্রহ সব সময় যাকে বিচলিত করত। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেক ধরনের অলিম্পিয়াড আছে, কিন্তু সংবাদপত্র নিয়ে কোনো অলিম্পিয়াড নেই। সেই ভাবনা থেকেই ২০১৮ সালে গড়ে তোলেন নিজের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান—নিউজপেপার অলিম্পিয়াড। এ বছরের শেষদিকে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোনো অলিম্পিয়াডের আন্তর্জাতিক রাউন্ড আয়োজন করাই এখন মূল লক্ষ্য। এর পাশাপাশি লাব্বী আহসান প্রতিষ্ঠা করেছেন এনএনও লার্নিং হাব। যেখানে প্রতিদিন ১৫ হাজার মানুষ নতুন কিছু শিখছে। লাব্বী আহসান বর্তমানে কাজ করছেন টেন মিনিট স্কুলের সাথে। তিনি সবসময় বিশ্বাস করেন— যে যাই বলুক, থেমে থাকা যাবে না। পথ চলতে গেলে হোঁচট তো খেতেই হবে। হোঁচট খেয়ে আবার ঘুরে দাঁড়াতে হবে। কারণ জীবনে সফলতার কোনো শেষ নেই।