মেয়েটা ছিল জগত বিখ্যাত বীর মেহরাভ তাফসীরের প্রিয়তমা। যার রূপ এবং বীরত্বের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্যে। শত শত বছর পরও পুরুষেরা যার নাম স্মরণ করে ভালােবাসতে ভয়। পেয়েছিল নিজেদের প্রেয়সীদের। রক্তের সমুদ্র সাঁতরে যে নারী অর্ধশতাব্দির ইতিহাস বদলে দিয়েছিল, নাম তার ‘ফালাক ইলহামান।' নিস্তব্ধ এক জোস্নালােকিত রাতে রাজহাভেলির ছাদে এই সুন্দরী। আদিম লীলায় মেতে উঠেছিল প্রেমিকের হত্যাকারীর সাথে। ভালােবেসে ফেলেছিল মােহনীয় ঐ যুবকটিকে... কোনাে এক কালে যে যুবক যুদ্ধের ময়দানে মেহরাভ তাফসীরকে পর পর তিনবার তরবারি বিদ্ধ করে হত্যা করে। যুদ্ধটার বিপক্ষে ছিল স্বয়ং ইবলিশ। দরবেশের বেশে ইবলিশ এক রাতে নেমে আসে পৃথিবীতে, আর মৃত্যুকূপ থেকে বাঁচায় ফালাককে।... কেন? কেন ওই যুদ্ধের বিপক্ষে। ছিল ইবলিশ? কেন শরবতের পেয়ালায় যুদ্ধের বিভীষিকাময় ভবিষ্যৎ। দেখিয়ে ফালাককে সতর্ক করেছিল? যে যুদ্ধে মুসলিমদের পরাজয়। ছিল শােচনীয়ভাবে! যে যুদ্ধে মুসলিম সাম্রাজ্যের সুলতান তাফসীরের শাহাদাত বরণ করবার কথা ছিল পূর্ব নির্ধারিত! মহাজাগতিক আবহে রচিত প্রেম, প্রতারণা, পরাজয়, যুদ্ধ, ধ্বংস আর আধ্যাত্মিকতার এক শ্বাসরুদ্ধকর উপাখ্যান... মহাপ্রলয়ের প্রান্তর।
জিমি তানহাব জন্ম ৫ ডিসেম্বর। পড়াশােনা করেছেন ইংরেজি ভাষা এবং সাহিত্য নিয়ে। বহুল আলােচিত বেস্টসেলার ‘ফোর্থ সেঞ্চুরি' সিরিজের লেখক তিনি। ফোর্থ সেঞ্চুরি’ ছাড়াও দুহাজার বছর পূর্বের প্রেক্ষাপটে রচিত তার জনপ্রিয় সিরিজ ইন্দ্রজাল’ পাঠক মহলে ব্যাপক সমাদৃত। জিমি তানহাব স্বতন্ত্র এবং নিজস্ব শিল্পরীতিতে বিশ্বাসী। হাজার বছরের পুরােনাে ইতিহাস, দর্শন এবং সভ্যতাকে তিনি নাটকীয়ভাবে গ্রন্থের পাতায় আশ্রয় দিতে ভালােবাসেন। তিনি মনে করেন, বিগত কয়েক যুগে রচিত বিশ্বের কালজয়ী সাহিত্যগুলােকে ছাড়িয়ে যাবার সাধনা করলে সত্যিকার অর্থে সাহিত্য জগতকে অমূল্য কিছু উপহার দেওয়া সম্ভব। এছাড়াও একজন লেখককে নৈতিকভাবে তার নিজের শিল্পকর্মের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হয় বলে মনে করেন তিনি। জিমি তানহাবের সৃষ্ট উল্লেখযােগ্য ক্ল্যাসিক উপন্যাসগুলাে : ‘এ মিস্ট্রি অব ফোর্থ সেঞ্চুরি’, ‘এ ফায়ার অব ফোর্থ সেঞ্চুরি’, ইন্দ্রজাল (হাজার বছরের পিছুটান), ইন্দ্রজাল ২ (হাজার বছরের আরাধনা) এবং রহস্যময় রােমান সম্রাট নীরাের শাসনামলের প্রেক্ষাপটে রচিত রক্ততৃষ্ণা।