স্বদেশ থেকে দূরে এই প্রবাসে আমরা দশ—কুড়ি—ত্রিশ বছর। করোনাকালের এই দু:সময়ে প্রবাসের অনাত্নীয়রাই খোঁজখবর নিচ্ছেন, করোনাকালীন সতর্কতায় সামনা সামনি দেখা সাক্ষাৎ না হলেও ভার্চুয়াল যোগোযোগ হচ্ছে। পরিবারের সাথে পরিবারের যোগাযোগ, যারা একা থাকেন তাদেরকে পরিচিত অনেকেই করোনা সতর্কতার মধ্যেও আমন্ত্রন করছেন, চলে আসেন, আমাদের সাথে থাকেন ইনশাল্লাহ করোনায় কিছু হবেনা। কেউ রান্না খাবার দরজায় ঝূলিয়ে রাখছেন। যারা আর্থিক সমস্যায় আছেন জানা থাকলে তাদের পাশে আরেক জন সহযোগিতার হাত প্রশস্ত করছেন। প্রবাসী ব্যবসায়ীরা, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো ও ব্যক্তিগতভাবেও কেউ কেউ এই মহা দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। ডাক্তার সহ কমিউনিটির সদস্যরা হেল্পলাইন ভিত্তিক সেবা দিয়ে চলেছে। দূতাবাসও প্রবাসীদের সাথে যোগাযোগের জরুরী সেবা চালু করেছে। মানুষ মানুষের জন্য।হিসাব মিলিয়ে দেখি এরা কেউই রক্তের আত্নীয় নন। এদের সাথে জীবনের কোনো লেনদেন নেই তাহলে এনারা কারা? হা এনারাই পরমাত্নীয়। প্রবাসের এই বন্ধু, বড় ছোট ভাই বোনদের ঋন শোধের ক্ষমতা আমাদের নেই। চলার পথে কত জনের সাথেই সখ্যতা হয়েছে, বন্ধুত্ব হয়েছে, বিবাদ হয়েছে, ভূলত্রুটি হয়েছে আবার মিলমিশও। আচ্ছা করোনাকালের শেষে আমরা যারা বেঁচে থাকব, আমরা কি পারিনা করোনামুক্ত পৃথিবীতে সবাই এরকম পরমাত্নীয় হয়ে থাকতে। করোনামুক্ত আমরা করোনা মুক্ত জাপান করোনামুক্ত বাংলাদেশ করোনামুক্ত বিশ্ব।