ফ্ল্যাপে লিখা কথা সবুজের সাথে মিতালি কথাটার মানে হলো গাছপালার সাথে বন্ধুত্ব। বন্ধুরা পরস্পরকে জানে। বন্ধুর বৃদ্ধির ও বিকাশ কেমন করে ঘটে? কেনো পরিবেশ এর অনুকূলে কাজ করে এবং কেনোটা প্রতিকূলে? তা জানাটাও খুব প্রয়োজন বন্ধুত্বের পূর্বশর্তরূপে। ভাবতে পারো : বন্ধুরা তো পরস্পরের সঙ্গে কথা বলে ও খেলা করে। গাছ কেমন করে আমাদের কথা বুঝবে? আমরাই বা কেমন করে বুঝব গাছের কথা? আসলে তুমি ভুলে গেছ, যখন তুমি ছোট্র শিশুটি ছিলে, কথা বলতে পারতে না এবং মাঠে গিয়ে খেলতেও পারতে না, হাঁটতে বা দাঁড়াতে পারতে না। তখন তোমার সবচেয়ে বড় বন্ধু ছিল তোমার মা। তোমার সঙ্গে তার সর্বক্ষণ আদান-প্রদান হতো হাসি ও আনন্দের। তোমার ক্ষুধা লাগা, গরম বা শীত লাগা- সবকিছুই বুঝতে পারতো তোমার মা। কারণ, তোমার চোখে মুখে প্রকাশ পেত তোমার সব প্রয়োজনবোধ ও অনুভূতি। যারা গাছের বীজ থেকে চারা, চারা থেকে গাছ এব গাছের পরিপূর্ণ বিকাশের ধাপগুলো জানে, যারা গাছের পরিচর্যা করে , গাছের সব প্রয়োজনকে বুছে, তারা মায়ের মতন নির্বাক, অথচ সজীব গাছগুলোর সব চাহিদা মেটাতে পারে। গাছ কিন্তু কৃষক বা মালির অথবা গাছপ্রিয় মানুষের যত্নই শুধু গ্রহণ না, সব ঋণ সে পরিশোধ করে-বাতাসকে পরিশোধিত করে, ফুলের সৌন্দর্য ছড়িয়ে, ফসল ও ফলে আমাদের ক্ষুধা নিবৃত্ত করে, গাছের ছাঁয়ায় আমাদের আশ্রয় দিয়ে। এমনকি গাছের মৃত্যুর পরও আমাদের গৃহ নির্মাণের ও আসবাবপত্রের উপাদান হয়ে আমাদের সঙ্গেই থাকে সে। গাছ তাই আমাদের পরম বন্ধু। তার সঙ্গে মিতালি ঘটতে পারে সহজেই। এজন্য গাছকে জানতে হবে। গাছ নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করতে হবে ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের।