একরাতের একটি ঘটনা লণ্ডভণ্ড করে দিলো একজন তরুণ লেখকের জীবন। পুরান ঢাকার ছয়তলা বাড়িটির প্রতিটা মানুষ ও তাদের জীবনযাত্রার ভিন্নতা সেইসাথে মর্মান্তিক এক ট্রাজেডি- যা পাঠকের মনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে বারংবার এবং নিয়ে যাবে তার চেতনার শেষপ্রান্তে। সুইসাইড নাকি মার্ডার? প্রতারণা নাকি ধোঁকা? কাহিনীর বিন্যাস শুরু থেকে মাথার ব্যায়াম করিয়ে শেষতক সত্যের উন্মোচন চমকে দিবে পাঠককে। রহস্যময় বন্ধুর সাথে আনন্দফুর্তি করতে বের হওয়া বশিরউদ্দিনের সাথে কি এমন হলো যা তার অন্তরাত্মা কাঁপিয়ে দিল একনিমিষে? ক্ষমতাবান মন্ত্রীর প্রাসাদরূপী বাড়িতে নেমে এলো পিনপতন নীরবতা। কেন? জানতে চাইলে শুনতে হবে এক মানসিক বিকারগ্রস্ত খানসামার অদ্ভুত গল্প। সাদাসিধে মিঠুর জীবনটা হঠাৎই বদলে গেল অপ্রত্যাশিতভাবে। ভেজা দেয়াশলাইয়ের মতো বেড়ে ওঠা মিঠু কি পেরেছে দাবার সবচেয়ে নিখুঁত চালটা খেলতে? ভয়ংকরভাবে খুন হলো পাঁচজন মানুষ, নড়ে উঠল সোশ্যাল মিডিয়াসহ পুরো দেশ। কেন মরতে হলো ওদের? কি ছিল এই অবর্ণনীয় নৃশংসতার পটভূমি? নিজের অস্তিত্বকে নিশ্চিহ্ন করতে উঠেপড়ে লেগেছে সাধারণ এক কলেজ শিক্ষক। সময়কে হারানোর যুদ্ধে কতটুকু অর্জন করতে পারবে সে? শূন্যতার অবলম্বনে পাঠক ঘুরে আসবেন ভালবাসার আলো ও অন্ধকার উভয় জগতের নির্জন গোলকধাঁধায়। সবমিলিয়ে অভিনব টুইস্ট এবং প্রচ্ছন্ন কিছু মেসেজের সংমিশ্রণে সামাজিক, দর্শন, ট্রাজেডি, মার্ডার মিস্ট্রি ও মনস্তাত্ত্বিক রোমাঞ্চকর সাতটি গল্পের স্বাদ পাঠক পাবেন এক মলাটে।
শাহরিয়ার ওয়াসিমের জন্ম ১৯৯৮ সালের ৩রা নভেম্বর। জন্ম চট্টগ্রামে হলেও বেড়ে ওঠা বগুড়া শহরে।। বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে উচ্চ। মাধ্যমিক পাশ করে বর্তমানে চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত। আছেন। শৈশব থেকেই প্রচণ্ড বইয়ের নেশা। সব ধরনের। বই পড়তে ভালােবাসেন, তবে সাইকোলজিক্যাল । ও ক্রাইম থ্রিলারের প্রতি রয়েছে বিশেষ আসক্তি। বইয়ের প্রতি প্রবল আকর্ষণ থেকেই তার লেখালেখিতে আসা। “সেমিকোলন” লেখকের দ্বিতীয় বই। তার পরবর্তী দুটো বই “ভেবেছি অরণ্যে যাবাে” ও “ডুবােজাহাজ”। এছাড়া বর্তমানে একাধিক থ্রিলার গল্প, উপন্যাস ও বুকশট নিয়ে কাজ করছেন।