"হোমো স্যাপিয়েন্স: রিটেলিং আওয়ার স্টোরি" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: আমরা স্যাপিয়েনস, হোমো স্যাপিয়েনস। সুবিশাল মহাবিশ্বের এক সর্পিলাকার গ্যালাক্সির খুব সৌভাগ্যময় এলাকায় আমাদের নিবাস। এই এলাকার আদুরে নাম গোলডিলকস জোন। কীভাবে এই মহাবিশ্বের সূচনা ও বিকাশ হলো, নীলনয়না এই গ্রহে আমরা কবে এলাম, কীভাবে এলাম - এসব চিরাচরিত জিজ্ঞাসার উত্তর তোমরা হয়তো শুনেছো। হালফিলে বিজ্ঞান দিয়ে এসব প্রশ্নের উত্তর না পেলে, অনেকের কাছে স্বাদটা কেমন যেন পানসে মনে হয়। তোমরা জেনেছো, পৃথিবীর অবস্থাকে জগতের কেন্দ্র থেকে এককোণায় ঠেলে দিয়েছিলেন কোপারনিকাস। কিন্তু তারপরও আমাদের বিশেষত্ব ক্ষুণ্ণ হয় নি-এটা মনে হয় জানো না। ডারউইন এসে বোঝালেন-আমরা আলাদা কিচ্ছু না, বরং অন্যান্য পশুর মতই। তবুও আমাদের স্বপ্নগুলো ধূসর হলো না। আমরা এখনো স্বপ্ন দেখি, গল্প-কবিতা লিখি, কল্পনার ঘুড়ি উড়িয়ে দিই নীলাম্বরে! বিজ্ঞানের সুধা পান করে তোমরা অনেক কিছু জেনেছো। আবার অনেক কিছুই জানো নি। কী জানো নি? কেন জানো নি? জানা কী দরকার? তোমার চিন্তার বাতায়নে মিষ্টি হাওয়া হয়ে মুখরিত হতে চাই, কানে কানে বলতে চাই - এসো, আমাদের গল্পটা আরো একবার শুনি। একটু ভিন্ন ধাঁচে, একটু ভিন্ন রঙে। আমরা হোমো স্যাপিয়েনস, আর এটা আমাদের গল্প। ইউভাল হারারি পাঠ ও মূল্যায়ন ইতিহাসের শিক্ষক ইউভাল নোয়াহ হারারি রচিত স্যাপিয়েনস : আ ব্রিফ হিস্ট্রি অফ হিউম্যানকাইন্ড বইটি বিশ্বব্যাপী সাধারণ পাঠকের মনে সাড়া ফেলেছে। কিন্তু পশ্চিমের অ্যাকাডেমিক ও বিশ্লেষকরা বইটিকে কীভাবে দেখেছেন? এই প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধানের জন্যই ইউভাল হারারির পাঠ ও মূল্যায়ন।
রাফান আহমেদ। পেশায় চিকিৎসক। পাশাপাশি সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে সক্রিয় আছেন ব্লগে, ফেসবুকে। নিজের ভাবনাগুলো লিখে রাখার চেষ্টা করেন দুই মলাটের মাঝে। এখন পর্যন্ত প্রকাশিত একক গ্রন্থের সংখ্যা পাঁচটি। সহলেখক ও সম্পাদক হিসেবে আছেন আরো কিছু বইতে৷ মেডিকেলের পড়াশোনার বাইরে আগ্রহের বিষয় দর্শন, ধর্মতত্ত্ব, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সংস্কৃতি।