যেসকল প্রশ্নের উত্তর আপনি খুঁজে বেড়াচ্ছেন মনেমনে। চারপাশের সবাই যখন দ্বীনে ফেরার জন্য মরিয়া, তখন শয়তান ও বসে নেই! মুখোশের আড়ালে আবডালে থেকে সে-ও দ্বীনে ফেরা মানুষগুলোকে বিভ্রান্তের জালে আটকে ফেলতে আঁটসাঁট হয়ে মাঠে নেমেছে। আবার নিজেদের পরিচয় দিচ্ছে সালাফি নামে। এ যেনো এক আত্মপ্রচার ওয়ালা ক্যানভাসারদের আত্মপ্রকাশ! ফলস্বরূপ হাজার বছর পূর্বে মুসলিম উম্মাহর মীমাংসিত বিষয়সমূহকে উসকে দিয়েছে জনসমক্ষে। মাজহাব আঁকড়ে ধরে থাকা কল্যাণকামী মুসলিম মননে সংশয় ও সন্দেহের বীজ বপন চলছে যখন প্রকাশ্যভাবে! এমনি এক কঠিন মুহূর্তে লেখকের হাত ধরে প্রস্ফুটিত হলো অ্যান্টিবায়োটিক নামে অসাধারণ একটি বই। বইটিকে লেখক উপন্যাস আকারে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে কোরআন ও সুন্নাহর রঙ-ঢঙে সাজিয়েছেন, যা বাঙলা ভাষায় এই প্রথম। সহস্র মানুষ বিভ্রান্তির পথকে গুড বাই জানিয়ে ফিরে এসেছেন নাজাতের পথে। যেই পথে ছিলেন আমাদের নবী, সাহাবা এবং সালাফগণ। তাই বইটি আপনি নিজে পড়ুন এবং আপনার বন্ধু দেহবাদী হওয়ার আগে তাকে বইটি উপহার দিন। প্রায় ২৫০টি গ্রন্থের রিসার্চ পেপার হিসেবে যার প্রতিটি পাতা সুসজ্জিত হয়েছে অকাট্য সব দলীল ও নান্দনিক উপস্থাপনার মাধ্যমে। সঠিক দ্বীন মানতে চাওয়া আমাদের অজস্র দ্বীনি ভাইবোনের জন্য আলোর দিশারি হবে অনবদ্য এই গ্রন্থটি।
ইলিশের শহর নামে খ্যাত চাঁদপুর জেলায় শেখ বংশের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করি। আমার মায়ের মুখ থেকে শুনেছি, সেই মাসটি ছিলো রমজান মাস। মানুষজন যখন তারাবীহের সালাতে রবের সামনে দন্ডায়মান, ঠিক তখনি আমার মালিক আমাকে দুনিয়ার স্নিগ্ধ বাতাস অনুভব করানোর জন্য উপযুক্ত মনে করলেন। আলহামদুলিল্লাহ। পিতামাতার পাঁচ সন্তানের মধ্যে আমি তৃতীয়। হাতেখড়ির শুরুটা মায়ের কাছ থেকেই পেয়েছি। তারপর যখন মাথার উপর হাত দিয়ে কান ধরতে শিখেছি, তখনি বাবা নিয়ে গেলেন গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য। ছোটবেলা থেকেই উস্তায/শিক্ষকরা আমাকে খুব স্নেহ করতেন। এতদিনে তাদের মধ্যে অনেকেই প্রয়াত হয়েছেন। রব তাদের সবাইকে উত্তম জাযা দান করুন, আমীন। প্রাইমারী শিক্ষা সমাপ্ত করে ভর্তি হই চাঁদপুর, ফরিদগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী রামপুর বাজার দারুচ্ছুন্নাত ফাজিল মাদ্রাসায়। জেডিসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ+ পেয়ে উপজেলার মধ্যে প্রথম হই। তারপর সাইন্স গ্রুপ থেকে দাখিলে এ+ পেয়ে উত্তীর্ণ হই। এভাবে আলিম, ফাজিল এবং কামিল কৃতিত্বের সাথে রব্বে কা'বা সমাপ্ত করার তাওফিক দিয়েছেন। মাদ্রাসা শিক্ষার পাশাপাশি জেনারেল শিক্ষাকেও গুরুত্ব দিয়েছি। চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে ম্যাথম্যাটিক্সে অনার্স ও নোয়াখালী গ্রন্থাগার তথ্যবিজ্ঞান কলেজ থেকে গ্রন্থাগারের উপর ডিপ্লোমা সমাপ্ত করেছি। ফালিল্লাহিল হামদ্। আমার প্রিয় শখ ধর্মতত্ত্ব নিয়ে লেখালেখি করা। তারই স্বাক্ষর রাখতে অ্যান্টিবায়োটিক ও সালাফদের দ্বীন বই দুটো প্রস্ফুটিত করার চেষ্টা করেছি।