বইটিতে বিভিন্ন সময়ে রচিত ও প্রকাশিত কয়েকটি প্রবন্ধ জড়ো করা হয়েছে। সময়কালের ব্যাপ্তি বিবেচনা করলে কমবেশি ২৫ বছর। বিদ্যায়তনিক বা একাডেমিক রচনাকেই কেবল রাখা হয়েছে। তবে সব প্রকাশনা স্বীকৃত বিদ্যায়তনিক প্রকাশনা নয়, যেহেতু স্বীকৃতির এই বিষয়টা নিয়ে লড়াই-ফ্যাসাদ আছেই। তিনটি জার্নাল থেকে প্রকাশিত রচনা রয়েছে— সমাজ নিরীক্ষণ, যোগাযোগ ও নৃবিজ্ঞান পত্রিকা। নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রকাশিত পুস্তকে প্রকাশিত রচনাও জড়ো করা হয়েছে। একটি রচনা রয়েছে অন্তত যা কখনোই প্রকাশিত হয়নি, কারণ তা বিদ্যাজগতীয় পত্রিকা থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। তত দিনে এই বইটির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে আর কোনো অবিদ্যাগত প্রকাশনায়ও পাঠানো হয়নি। একটি রচনা সম্প্রতি করোনাকালের একটা সংকলনের জন্য নিমন্ত্রিত। আর একটি মাত্র রচনা দৈনিকে প্রকাশিত ছিল প্রায় বছর কুড়ি আগে। কিন্তু কোনোটাকেই রাখতে দ্বিধা করিনি। কারণ এই পুস্তকের বিদ্যামূল্য নিয়ে আমার দুর্ভাবনা নেই। গ্রন্থটিকে এসব জড়োগিরির সত্ত্বেও জগাখিচুড়ি না বলার ইচ্ছা আমার, তবে পাঁচমিশালি বলা যেতেই পারে, যদি পাঠক চান। তবে গ্রন্থটির আলোচ্য বিষয়বস্তু বিচার করলে ততটা পাঁচমিশালি নয়। জনসংস্কৃতি তথা ‘পপুলার কালচার’ এখানকার প্রবন্ধগুলোর অনুসন্ধানের জায়গা। তবে খোদ জনসংস্কৃতির পরিধি সুনিশ্চিত মীমাংসিত নয়। ফলে কিছু পাঠক যদি বিষয়বস্তুও অসামঞ্জস্য দাবি করেন, অবাক হব না। দুয়েকটা প্রবন্ধ তর্ক বা বিদ্যার পদ্ধতিগত প্রশ্ন নিয়েও চিন্তাশীল থেকেছে।
জন্ম: বরগুনা, ২৮ মার্চ ১৯৬৯। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞানের শিক্ষক। কথাশিল্পী, সংকলক, অনুবাদক, কলামিস্ট ইত্যাদি। শিল্পকলার পত্রিকা Depart-এর নির্বাহী সম্পাদক। প্রকাশিত গ্রন্থ : নৃবিজ্ঞানের প্রথম পাঠ (রেহনুমা আহমেদ-এর সঙ্গে যৌথ বিরচিত), কর্তার সংসার: নারীবাদী রচনা সংকলন (সায়দিয়া গুলরুখ-এর সঙ্গে যৌথ সম্পাদিত), এইডস ও যৌনতা নিয়ে ডিসকোর্স (সায়দিয়া গুলরুখ-এর সঙ্গে যৌথ বিরচিত), নৃবিজ্ঞান পরিচিতি (প্রশান্ত ত্রিপুরা ও রেহনুমা আহমেদ-এর সঙ্গে যৌথ বিরচিত), মুক্ত আলোচনা (আইনুন নাহার-এর সঙ্গে যৌথ সম্পাদিত), সাম্প্রতিক নৃবিজ্ঞান (নুরুল আলম এবং আইনুন নাহার-এর সঙ্গে যৌথ সম্পাদিত), চর্চা (জহির আহমেদ-এর সঙ্গে যৌথ সম্পাদিত), কাকগৃহ(ছোটগল্প), আয়ানাতে নিজের মুখটা(ছোটগল্প), ময়নাতদন্তহীন একটি মৃত্যু,(ছোটগল্প)।