মঙ্গোলীয় মহাজাতির তিব্বত-ব্রহ্ম শাখার কুকি-চীন গোষ্ঠীর অন্তর্গত ‘মণিপুরি’ একটি জাতিসত্তার নাম। সাধারণভাবে তারা ‘মৈতৈ’ নামে পরিচিত। তাদের মাতৃভাষা ‘তিবেতো-বার্মিজ’ ভাষাপরিবারভুক্ত। ‘মণিপুরি ভাষা’ ‘মৈতৈ লোন বা ভাষা’ বলে পরিচিত। br br বাংলাদেশে বিষ্ণুপ্রিয়া নামের ‘ইন্দো-এরীয়’ পরিবারভুক্ত একটি জনগোষ্ঠী আছে। এক ভ্রান্ত বিবেচনাবোধ থেকে এদেশে তারাও সাধারণভাবে মণিপুরি নামে পরিচিত। তাদের ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের অন্তর্গত ‘বিষ্ণুপ্রিয়া ভাষা’কে তারা মণিপুরি ভাষার একটি অংশ বলে দাবি করে থাকেন। বিষ্ণুপ্রিয়া জনগোষ্ঠীর কেউ কেউ তাদের মাতৃভাষাকে ‘বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি’ ভাষা বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন, কেউ বলেন ‘মণিপুরি বিষ্ণুপ্রিয়া’, আর কেউ কেউ অভিহিত করেন শুধুই ‘মণিপুরি ভাষা’ বলে। অথচ, বিষ্ণুপ্রিয়া একটি পৃথক ও পূর্ণাঙ্গ জাতিসত্তা এবং তাদের ভাষাও সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র একটি ভাষা।br br বিষ্ণুপ্রিয়া জনগোষ্ঠীর আত্মপরিচয়ের এই সংকট মণিপুরিদের জাতিগত ও ভাষাগত পরিচয়ের ওপরও এক ধরনের বিভ্রান্তির ছায়া বিস্তার করে। ফলে, বিষয়টি নিয়ে এই দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি একাডেমিক বিতর্ক অনেকদিন ধরেই চলমান। এই বিতর্কের প্রেক্ষিতেই ‘মণিদীপ্ত মণিপুরী ও বিষ্ণুপ্রিয়া বিতর্ক-ইতিহাসের দর্পণে দেখা' নামের ছোট্ট গ্রন্থটি রচিত। এই গ্রন্থে উপরোক্ত বিতর্ক নিয়ে নির্মোহ দৃষ্টিতে আলোচনা ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গ্রন্থটি অনেকের মধ্যে বিরাজমান ভ্রান্তির কুয়াশা দূর করে দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই বিতর্কের প্রত্যাশিত একটি সমাপ্তি ঘটাতে সহায়ক হবে নিঃসন্দেহে।br br মঙ্গোলীয় মহাজাতির তিব্বত-ব্রহ্ম শাখার কুকি-চীন গোষ্ঠীর অন্তর্গত ‘মণিপুরি’ একটি জাতিসত্তার নাম। সাধারণভাবে তারা ‘মৈতৈ’ নামে পরিচিত। তাদের মাতৃভাষা ‘তিবেতো-বার্মিজ’ ভাষাপরিবারভুক্ত। ‘মণিপুরি ভাষা’ ‘মৈতৈ লোন বা ভাষা’ বলে পরিচিত। br br বাংলাদেশে বিষ্ণুপ্রিয়া নামের ‘ইন্দো-এরীয়’ পরিবারভুক্ত একটি জনগোষ্ঠী আছে। এক ভ্রান্ত বিবেচনাবোধ থেকে এদেশে তারাও সাধারণভাবে মণিপুরি নামে পরিচিত। তাদের ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের অন্তর্গত ‘বিষ্ণুপ্রিয়া ভাষা’কে তারা মণিপুরি ভাষার একটি অংশ বলে দাবি করে থাকেন। বিষ্ণুপ্রিয়া জনগোষ্ঠীর কেউ কেউ তাদের মাতৃভাষাকে ‘বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি’ ভাষা বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন, কেউ বলেন ‘মণিপুরি বিষ্ণুপ্রিয়া’, আর কেউ কেউ অভিহিত করেন শুধুই ‘মণিপুরি ভাষা’ বলে। অথচ, বিষ্ণুপ্রিয়া একটি পৃথক ও পূর্ণাঙ্গ জাতিসত্তা এবং তাদের ভাষাও সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র একটি ভাষা।br br বিষ্ণুপ্রিয়া জনগোষ্ঠীর আত্মপরিচয়ের এই সংকট মণিপুরিদের জাতিগত ও ভাষাগত পরিচয়ের ওপরও এক ধরনের বিভ্রান্তির ছায়া বিস্তার করে। ফলে, বিষয়টি নিয়ে এই দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি একাডেমিক বিতর্ক অনেকদিন ধরেই চলমান। এই বিতর্কের প্রেক্ষিতেই ‘মণিদীপ্ত মণিপুরী ও বিষ্ণুপ্রিয়া বিতর্ক-ইতিহাসের দর্পণে দেখা' নামের ছোট্ট গ্রন্থটি রচিত। এই গ্রন্থে উপরোক্ত বিতর্ক নিয়ে নির্মোহ দৃষ্টিতে আলোচনা ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গ্রন্থটি অনেকের মধ্যে বিরাজমান ভ্রান্তির কুয়াশা দূর করে দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই বিতর্কের প্রত্যাশিত একটি সমাপ্তি ঘটাতে সহায়ক হবে নিঃসন্দেহে।
Title
মণিদীপ্ত মণিপুরি ও বিষ্ণুপ্রিয়া বিতর্ক - ইতিহাসের দর্পণে দেখা
এ কে শেরাম জন্ম ১৯৫৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি (জন্মকোষ্ঠী অনুযায়ী) হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলাধীন ১নং গাজিপুর ইউনিয়নের অন্তগত অন্তর্গত গোবরখোলা গো গ্রামে। পিতা-নবকিশোর সিংহ ও মাতা- থাম্বাল দেবী। বর্তমানে ৩৫/বি কলকাকলী, লালাদিঘির পূর্বপার, সিলেট-৩১০০-এর স্থায়ী বাসিন্দা। বাণিজ্য ও আইনে স্নাতক ডিগ্রিধারী এ কে শেরাম সোনালী ব্যাংক লিমিটেড-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কর্মজীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছেন। মণিপুরী ও বাংলা ভাষায় লেখালেখি করেন। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩৩টি। সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ভারতের মণিপুর রাজ্য থেকে ছয়টি এবং আসাম রাজ্য থেকে দুইটিসহ মোট চৌদ্দটি অ্যাওয়ার্ড ও সম্মাননা পেয়েছেন।