"নিঃস্বার্থ অপেক্ষা" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ সেঁজুতি সজলের সাথে পরিচয় হয় দূরসম্পর্ক এক চাচীর মাধ্যমে। যখন পরিচিত হয় সজল তাকে খুব খেয়াল রাখে। প্রতিনিয়ত ফেসবুকে ম্যাসেজ দিতে থাকে। সেঁজুতি কখন কী করছে জানার চেষ্টা করে। আর সজল নিজে কখন কী করছে তার সকল কিছুর আপডেট জানায়। অনেক রিকুয়েষ্ট’র পর সেঁজুতির নাম্বার পায় সজল। তারপর চ্যাটিং ও ফোনে কথা বলতে বলতে তাদের মাঝে বন্ধুত্ব গভীর হতে থাকে। তবে সজল দেখতে তেমন স্মার্ট নয়, তাই সেঁজুতি তাকে মন থেকে সেভাবে পছন্দ করতে পারে নি। হঠাৎ একদিন সেঁজুতি খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে। সজল জানতে পেরে সেঁজুতির বাসায় আসতে চায়, সেঁজুতি অনুমতি না দেয়ার পরও সজল আসে, আর বলে তুমি যদি ছাদে না আসাে, তাহলে আমি সারারাত এখানেই কাটিয়ে দিবাে। আর হা আসার সময় এক বােতল পানি নিয়ে আসবে। যখন সেঁজুতি না চাইতেও রাগী মনােভাব নিয়ে ছাদে আসে এসে দেখে সজল দাঁড়িয়ে আছে ঔষধ আর কিছু খাবার হাতে নিয়ে। সেঁজুতিকে নিজ হাতে খাবার খাইয়ে ঔষধ খাইয়ে দেয় ঠিক তখনি সেঁজুতির চোখ অশ্রুজলে ভিজে যায়। আর সেই আনস্মার্ট সজলকে সেঁজুতি ভালােবেসে ফেলে। তবে সজলের পারিবারিক সমস্যা থাকার কারণে সজল বিয়ে করে অন্য এক মেয়েকে। সজলের এখন একটি ছেলে সন্তানও আছে। সেঁজুতি এখনাে সজলকে দূর থেকে ভালােবেসে যায়।
জন্ম ২৬ জানুয়ারী পুরান ঢাকার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। কৈশোরে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া ‘আলোকিত মানুষ’ হওয়ার স্বপ্ন। তাও যদি সে স্বপ্ন হয় কোনো তরুণের? সমাজে পেটের তাগিতে নয়, বাঁচতে চায় মানুষের ভালোবাসায়। এমন এক অস্থির সমাজে সবাই সে স্বপ্নের রঙ ছড়াতে পারে? পারে না। কিন্তু সে স্বপ্নের রঙ ছড়ানোর দুর্মর ইচ্ছে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তরুণ কবি মিজানুর রহমান হৃদয়। তিনি একাধারে কবি, লেখক, ডিজিটাল মার্কেটার। অল্প বয়সে একের মধ্যে অনেক কিছু। সখ তার বিশ্ব ঘুরে দেখা, আর অসহায় মানুষকে ভালোবেসে কিছু করা। লেখালেখি তার প্রাণ খুলে নিয়েছেন। এরপর আর কলম থামেনি। আর তাতে অনুপ্রেরণার জল ঢেলেছেন প্রিয় বন্ধুরা এবং একজন বিশেষ মানুষ। ভালোবাসার কবিতা লিখলেও তরম্নণ এই কবি সমাজের অসঙ্গতি, অন্যায়, অবিচারের বিরম্নদ্ধে তুমুল প্রতিবাদী এবং লেখেন সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে। তার লেখায় ছড়িয়ে আছে, দ্রোহ আর মানুষের প্রতি গভীর মমত্ব। ‘কী ভুল ছিলো আমার’ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ (২০১৮)। ‘তোমার অপেক্ষায়’ উপন্যাস (২০২০)। ‘নিঃস্বার্থ অপেক্ষা’ গল্পের বই (২০২১)। ‘দ্বিতীয় বাসর’ উপন্যাস (২০২২)।