কবি সোহেল মোস্তাক ফেনী সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। ‘উড়নচণ্ডী ছেলেটা নিজেকে গোছাতে চেয়েছিল’ তার প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ হলেও ইতোমধ্যে বইটি পাঠকমহলে বেশ সাড়া জাগিয়েছে। সোহেল মোস্তাকের কবিতার এই ‘উড়নচণ্ডী’ এক সংবেদী মানুষ, প্রেমিকও, ঘরবাড়ি ছেড়ে সে প্রেমিকার কাছাকাছি ‘বহু দূরে’ বসে থাকে, অথচ প্রেমিকাকে না পেলেও প্রেমটাকে সে বিশুদ্ধ একটা অনুভব ভেবে তৃপ্তিও পায়। পাঠকরা কবিতার এই উড়নচণ্ডীকে ভালোবাসবেন বলে মনে করেন কবি সোহেল মোস্তাক। কাব্যগ্রন্থটি নিয়ে কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম লিখেছেন, সোহেল মোস্তাকের ভাবটা গভীর, ভাষাটা অজটিল; তার বিষয়ভাবনায় বৈচিত্র আছে, প্রকাশে স্পষ্টতা আছে। তার চিত্রকল্পগুলো অনেক সময় জীবন্ত ছবির মতো। তার কবিতায় নির্মাণের, নন্দনের, ভাবনার, কল্পনার কোনো অঞ্চলেই বেহিসেবি বলে কিছু নেই। কাব্যগ্রন্থটির প্রথম কবিতায় কবি নিজের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি হালের কোলাহল থেকে সযত্নে নিজেকে দূরে রাখতে চান। সেটি যুগপৎভাবে ব্যক্তি ও শিল্পজীবনে। নিম্নকণ্ঠী এ কবি কথোপকথন ঢং-এ শিল্পের শোকার্ত অধ্যায় উন্মোচন করেছেন স্বনিষ্ঠ দক্ষতায়। সহজ বয়ানে বাহ্যত রোমান্টিক আবহে নির্মিত এ কাব্য ছড়িয়ে পড়েছে নান্দনিকতার খোঁজে; স্পর্শ করেছেন সামাজিক-রাজনৈতিক-লোকায়ত জীবন ও বিশ্বাসের অভীষ্ঠ লক্ষ্য। কবি সোহেল মোস্তাকের কবিতা সরল হয়েও কখনো কখনো গভীর ব্যাঞ্জনা রচনা করে।
কবি সোহেল মোস্তাকের জন্ম ২ জানুয়ারি ১৯৮৬; ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার মাটিয়াগোধা গ্রামে। তিনি ফেনী সরকারি কলেজে ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পদে কর্মরত। সোহেল মোস্তাক বিদ্যাকুটির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাঁদগাজী হাই স্কুল, চট্টগ্রাম কলেজ ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি ‘হেল্পিং মাইন্ড’ সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে যুক্ত। স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণমূলক সংস্থাটি ঝরেপড়া পথশিশুদের নিয়ে কাজ করে। তিনি এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি। চার ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। কবি ‘উড়নচণ্ডী’ জীবন শেষে সংসারী হয়েছেন অনন্তৈশি’র সাথে।