ধরুন মাটি দলা করে আপনি কিছু একটা বানালেন; আপনি একজন নির্মাতা। কোনো নির্মাতাই চায় না তার সৃষ্টি নিজ থেকে নষ্ট হয়ে যাক। আল্লাহও চান না আমরা নিজের ইচ্ছেয় মরে যাই। এই সুবিশাল পৃথিবী এক অবিনশ্বর সত্তার মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন। আমরা সবাই সেই পরিকল্পনার ক্ষুদ্র অংশ। আমাদের কাজ-কর্মও তার আওতাভুক্ত। আজকের প্রেমে ব্যর্থ ব্যক্তিটিই হয়তো আগামী কাল হয়ে যেতে পারেন দেশের প্রধানমন্ত্রী!
মানুষকে আল্লাহ চোখ দিয়েছেন তার চেহারার সামনে, পায়ের পাতা দিয়েছেন সামনের দিকে চলার জন্যে। সে যখন মনের চোখ দিয়ে বর্তমান বা অতীতের ব্যর্থতাকেই বড় করে দেখে, সামনে চলার পরিবর্তে হেঁটে যায় পেছনে, তখন সে আল্লাহর মহাপরিকল্পনা থেকে নিজেকে বিচ্যুত করে। এই সত্য মুমিনদের জন্য যেমন, অবিশ্বাসীদের জন্যও সমান প্রযোজ্য।
আপনি যদি চান, আল্লাহ যে আপনাকে তার ‘খলিফা’ করে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন, আপনি তার সঠিক প্রতিনিধিত্ব করবেন, তবে এ বই আপনাকে বাতলে দেবে সে উপায়। আপনার যত ডিপ্রেশন, কান্নায় চোখ টলমল, মৃত্যু হলেই বেঁচে যাবেন ভাবছেন, পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেলেই সুখ পাবেন অনন্তকালে, তাদের জন্য এ বই, আলোর সলতে ধরে আপনাকে নিয়ে যাবে বিশুদ্ধ এক জগতে।
জন্ম ১৯৭০ সালের ১৬ জুলাই। ইসলামের বিখ্যাত সেনাপতি খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা) এর বংশধর তিনি। মাত্র ৫০ বছর বয়সেই হয়ে উঠেছেন আরব জাহানের বিশিষ্ট বক্তা এবং লেখক। তিনি তার বক্তৃতা এবং লেখনীর মাধ্যমে আরবসহ পশ্চিমা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। হ্যাঁ! আমরা আর কারো কথা বলছি না, বলছি ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফীর কথা। দাম্মামে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পর সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেন তিনি এবং রিয়াদের বাদশাহ সৌদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেছেন পিএইচডি ডিগ্রি। বিখ্যাত হাদীস বিশারদ শায়খ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল, শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনে কুউদ, শায়খ আব্দুর রহমান ইবনে নাসের আল-বাররাক প্রমুখ ব্যক্তিবর্গকে শিক্ষক হিসেবে পেয়েছেন মুহাম্মদ আরিফী। প্রায় পনেরো-ষোলো বছর ইবনে বায রহ. এর সাথে থাকার সৌভাগ্য হয় তার। তার জীবনের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর দাওয়াত দেওয়া। তাকে অনেক সময় ""দাওয়াত ইল্লাল্লাহ"" বলেও সম্বোধন করা হয়। তার বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা করার মূল কারণও এটি। বাজারে তার বক্তৃতায় অডিও-ভিডিও ক্যাসেট পাওয়া যায় যার দ্বারা উপকৃত হচ্ছে পুরো মুসলিম বিশ্ব। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী বই রচনা করে চলেছেন মানবজাতির কল্যাণার্থে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমূহ প্রত্যেকটি বিক্রির সময় একটি আরেকটিকে ছাড়িয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমগ্র হলো ভার্সিটির ক্যান্টিনে, সুখময় জীবন উপভোগ করুন, তুমি সেই নারী, নবী-চরিত্রের আলোকে: জীবন উপভোগ করুন, রাগ করবেন না: হাত বাড়ালেই জান্নাত, কিতাবুল ফিতান, রোজা ও হজ্জের পয়গাম, নারী যখন রানী, তোমাকে বলছি হে বোন, আপনার যা জানতে হবে, রামাদান আল্লাহ’র সাথে সম্পর্ক করুন, যেভাবে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকবেন ইত্যাদি।