ছোট্ট একটা গ্রাম, নিশীথপুর। সেখানে, শিমুলের তাজ পরে মাথা তুলে জেগে থাকে সবুজ ধানের ক্ষেত। নিরিবিলি, শান্ত সেই গ্রামটাতে একদিন নেমে এলো এক অভিশপ্ত দুপুর। সময়ের হিসাবে সেই দুপুরটা ফুরিয়ে গেলেও, ফুরালো না আলোর জীবন থেকে। তার কিশোরী বুকের গহীনে গেঁথে রইলো সেই দুপুরের ক্ষত। তারও সাত বছর পর, হঠাৎ বদলে গেল আলো-ঊষা নামের দুই জমজ বোনের গল্প। ওদের জীবনে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো সেই পুরোনো দুপুরের দহন। ধর্ম, সমাজ, অথবা ক্ষমতার লোভে বলি হলো একাধিক প্রাণ। আর তার সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রইল একটা পোড়া জমিদার বাড়ি। নীরবে হারিয়ে গেল আলো, ঊষা, অরুণ, আর সকিনা বানুর গল্পেরা। তাহলে কে জিতেছিল সেসময়? সমাজ? নাকি, সম্পর্ক, বিশ্বাস এবং ধর্মের ঢাল ব্যবহার করে নিজের যুদ্ধ জিতে চলে গেছে অন্য কোনো স্বার্থান্বেষী? সবকিছু শেষ হয়ে যাবার বাইশ বছর পরে এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে জনসম্মুখে এলেন এক তরুণ লেখিকা। বাইশ বছর আগের সেই অসমাপ্ত গল্পের শেষ অধ্যায় লিখলেন নিজের লেখক পরিচিতিতে। মাত্র কয়েকটি লাইনেই কাউকে বুঝিয়ে দিলেন পাওনা শাস্তির ভার। নিজেও হলেন দায়মুক্ত। কী এমন ঘটেছিল সেই দুপুরে? সেই লেখক পরিচিতিতেই বা কী লিখেছিলেন অরুন্ধতী? অত পুরোনো গল্পে অরুন্ধতীর কীসের দায়?