আজকের কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীরাই নেতৃত্ব দিবে আগামীদিনের, পথ দেখাবে এই দেশ ও সমাজকে। তাদের গভীরভাবে চিন্তা করতে শিখতে হবে, বিশ্লেষণ করতে শিখতে হবে, ভালো-মন্দের ফারাক বুঝতে সক্ষম হতে হবে, সহনশীল হতে হবে, সৃজনশীলতার চর্চা করতে হবে, মানবিক হতে হবে এবং সর্বোপরি নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। এসব কিছুর সাথেই সম্পর্ক রয়েছে আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা নামক একটি ধারনার যে ধারনাটি উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক আগে থেকেই জনপ্রিয় হলেও এ সম্পর্কে আমাদের দেশের অনেকই অবগত নয়। আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে অবগত ও সচেতন না থাকার কারনে অনেক সময় দৈনন্দিন ও ব্যক্তিগত জীবনের অনেক সমস্যা ও আচরণ যে আসলে আমাদের আবেগীয় বুদ্ধিমত্তার সাথে সম্পর্কিত তাও আমরা বুঝতে পারিনা যার ফলে সমস্যাগুলো থেকেই যায় এবং এর বৃহত্তর প্রভাব পড়ে সমাজে। এই বইটির উপজীব্য আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা হলেও শুধু আবেগীয় বুদ্ধিমত্তার সংজ্ঞা আলোচনার পরিবর্তে বাস্তব জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আবেগীয় বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা, প্রয়োগ ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীরা জীবনে চলার পথে মোটাদাগে যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হয় অথবা ব্যাক্তির যে আচরণগুলো আবেগীয় দক্ষতার সীমাবদ্ধতার ফলে তৈরী হয় সেসব আচরণ ও সমস্যা কিভাবে আবেগীয় দক্ষতা দিয়েই সমাধান করা যায় তা নিয়েই লেখা এই বইটি।