লেখালেখি নিয়ে বিশ্বখ্যাত কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, কবি ও সাংবাদিকের নিজেদের ভাবনার জগতের একটি ছবি পাওয়া যাবে এই বইয়ে। কী করে তারা লেখার জগতে চলে এলেন, লিখতে গিয়ে কোন বিষয়গুলো তাদের নজরে এল, কী ধরনের সমস্যায় পড়লেন— এমন অনেক দিক সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। কত অসাধারণ ব্যাপারটি হয় যদি ভাবেন, পাঠক হিসেবে আপনি একটি ক্লাসে গেছেন যেখানে জর্জ অরওয়েল জানাচ্ছেন, তিনি কেন লেখেন; বার্ট্রান্ড রাসেল কী করে লেখেন, তার বর্ণনা করছেন; ভি এস নাইপল বলছেন, কী করে তিনি লেখক হয়ে উঠলেন; ফ্র্যাঙ্ক ও’কনর জানাচ্ছেন, ছোটগল্প তার চোখে কী ধরনের শিল্প; ভার্জিনিয়া উলফ বলছেন, সেই শিল্পের শিল্পনৈপুণ্য নিয়ে; নাদিন গোর্ডিমার সেখানে লেখকের স্বাধীনতার সীমা-পরিসীমা নির্ধারণ করছেন; টোনি মরিসন বোঝাচ্ছেন লেখায় পূর্ব প্রজন্মের ভূমিকা; ডি এইচ লরেন্স আমাদের প্রিয় ক্ষেত্র উপন্যাসের গুরুত্ব বর্ণনা করছেন; কার্লোস ফুয়েন্তেস জানাচ্ছেন, বিশ্বসাহিত্যে সেই উপন্যাসেরই মহিমার কথা; জাঁ পল সার্ত্রে পাঠকের পড়ার সঙ্গে লেখকের লেখালেখির চমৎকার সম্পর্কটি উপস্থাপন করছেন আর ইতালো ক্যালভিনো নিরূপণ করছেন, লেখকের লেখালেখিতে রাজনীতি প্রভাব ফেলবে নাকি ফেলবে না, আবার চিনুয়া আচেবে বলছেন কল্পকাহিনি কি মিথ্যা? মিথ্যা না হলে তা সত্যই-বা কীভাবে! কল্পিত সেই সমাবেশের বারোজন বিশ্বখ্যাত লেখকের উল্লিখিত বিষয়ের প্রবন্ধগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হলো এখানে।
আফসানা বেগম জন্ম ২৯ অক্টোবর ১৯৭২ সালে ঢাকায় । বাবার চাকরির সুবাদে শৈশব-কৈশাের কেটেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়, বিশেষত দিনাজপুরে । দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ঢাকার হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায়। প্রশাসনে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ।। পরে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং সেখানেই পিএইচডি গবেষণা করছেন। উল্লেখযােগ্য বই : প্রতিচ্ছায়া, বেদনার আমরা সন্তান, আমি অথবা আমার ছায়া, দিনগত কপটতা। অনুবাদ করেছেন নাদিন গড়িমার, উইলিয়াম ফকনার, হুলিও কোর্তাসার, অ্যালিস মানরাে, আইজাক আসিমভ, ফিদেল কাস্ত্রোসহ অন্যান্য লেখকের কালজয়ী রচনা। ২০১৪ সালে পেয়েছেন জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার ।