বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে কিশোর-কিশোরীরা অতি মাত্রায় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসমুখি। তারা পাঠ্য বই-এর বাইরের বই তেমন পড়তে চায় না। বিভিন্ন সাহিত্য রসবোধ, কৌতুহল তারা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসে অণ্বেষন করে থাকে। তারা এসব বিষয়ের প্রতি আকৃষ্ট বটে তবে তা তারা কাগজের বই থেকে এখন তেমন নিতে চায় না। বেশিরভাগ কিশোর-কিশোরী পাঠ্য বই-এর বাইরে তেমন পাঠ অভ্যাস থেকেও দূরে সরে যাচ্ছে। অবশ্য কারণও রয়েছে। তাহলো এখন এই একাডেমিক শিক্ষার প্রতিযোগিতার যুগে তারা প্রচ- স্নায়ু চাপে ভুগছে। যুগ পাল্টালেও একথা অস্বীকার করার অবকাশ নেই তারা এখনও ভূতের গল্প শুনতে ভালবাসে। ভয় জনিত শিহরণ, রোমান্স তারা হৃদয়ে পুষে মজাও পায়। আবার কৌতুহল রয়েছে ভূত সম্পর্কে। এফএম রেডিও’র বিভিন্ন চ্যানেল হতে তারা এ ধরনের স্বাদ নিতে চায়। এসব কথা মাথায় রেখে আমার হঠাৎ মনে হলো ভূত বিষয়ে কিছু লেখা। আসলে ভূতের কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের পারিপার্শ্বিক ঘঠনা চক্রে অনেক অলৌকিক ঘঠনা ঘঠে যায়। তার কিছু ঘঠনার কার্যকারণ বিদ্যমান। আবার কিছু কিছু ঘঠনার আদৌ কোন কার্যকারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। যা আপাত দৃষ্টিতে ভৌতিক কর্মকা- বলে মনে হয়।