বইয়ের সারসংক্ষেপ: বুটুস এক কৌতূহলী কিশোর। অজানাকে জানার আগ্রহ, সাহস, আর বৈচিত্রময় চরিত্র তাকে আলাদা করেছে সতীর্থদের থেকে। বুটুস মনে করে তার ভেতরে কোনো এক দিব্যজ্ঞান আছে; যা অদূর ভবিষ্যতের আগামবার্তা পৌঁছে দেয়, লৌকিক অথবা পরলৌকিক প্রাণীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সাহায্য করে। বুটুস অনেক কিছু জানে, প্রত্যক্ষ করে যা অনেকেরই চর্মচক্ষুর দৃষ্টিগোচর সম্ভব না। বুটুস স্বপ্ন দেখে; দুঃস্বপ্ন দেখে। স্বপ্নগুলো বাস্তবিক নির্ভর কল্পলোকের অনুভূতির ছোয়া মনের অজান্তে সেই জাগর স্বপ্নগুলো তার মানসপটে ভেসে উঠে। মনে হয় সেই স্বপ্নগুলো আগামীর গর্ভে কিছু ঘটে যাবার ইঙ্গিত। স্বাধীনতা যুদ্ধে টঙ্গীতে কয়েকটি নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় যে, ঘটনাগুলো রাজাকার এবং মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষের ফল। কিন্তু বুটুসের স্বপ্ন ও তার অলৌকিক শক্তি তাকে ধাবিত করে সত্যের সন্ধানে। পুরাতন ঢাকা থেকে টঙ্গীতে ভ্রমণ— যাত্রা সেই অনুসন্ধানেরই গল্প। অনেক কিছু আবিষ্কার হয় এই ভ্রমণে। সে বুঝে ফেলে খুনের ঘটনাগুলো ছিল পরিকল্পিত। যে কারণে অকস্মাৎ বুটুসের অনুসন্ধান ও যাত্রার সমাপ্তি ঘটে। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, বুটুস কি শেষপর্যন্ত পারবে দুস্কৃতিকারীদের সকল তথ্য মানুষের কাছে পেঁৗছে দিতে? পাঠক, বইটির শেষপর্যন্ত পড়ে আবিষ্কার করুন রোমাঞ্চকর গল্পের পেছনের গল্প। একটি ব্যতিক্রমী প্রমূর্ত বিষয় হচ্ছে, বইটির ষোলোটি অধ্যায় চিহ্নিত করে সংখ্যা ষোলোকে; যে সংখ্যাটি আমাদের মহান বিজয় দিবসের ঐতিহাসিক তারিখের মহিমাকেই ইঙ্গিত করে! —আলী ইমাম, বিশিষ্ট্য শিশুসাহিত্যিক
শফিকুল ইসলামের জন্ম ১৯৬৫ সালের ৩১সে ডিসেম্বর । জন্মস্থান: পুরাতন ঢাকা । শফিকুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ কৌশলে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন ১৯৯১ এ । তারপরে উচ্চশিক্ষার্থে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান । স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বিভাগে চাকরীতে নিযুক্ত আছেন । বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের একটি বিভাগে সাইবার সিকিউরিটি আর্কিটেক্ট হিসেবে গত বিশ বছর ধরে নিযুক্ত আছেন । শফিকুল ইসলাম শৈশব থেকেই বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন । বহুদিন ধরে তিনি প্রবাসের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিবন্ধ, ছোটগল্প, নৃত্যনাট্য, গীতিনাট্য এবং নাটক লিখে আসছেন । এই পর্যন্ত লেখকের লেখা তিনটি নাটক ভার্জিনিয়া এবং ম্যারিল্যান্ডের থিয়েটারে মঞ্চায়িত হয়েছে ।