খেদু মিয়া, ফরেনসিক মেডিসিনের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর| স্কুল শিক্ষক খালেক স্যারের অজানা এক কারনে খাদেমুল ইসলাম থেকে শ্রুতিকটু খেদু মিয়া নাম হয়ে যাওয়া লোকটার জীবনে হঠাৎ ঘটে যায় এক অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা। অপঘাতে মরা মানুষের কথা শুনতে পায় খেদু মিয়া ; যন্ত্রণাদায়ক হলেও অতি জটিল কেসের ময়নাতদন্তে সাহায্য করতে হয় তার | ডাঃ খেদুমিয়ার ক্লাস নিতে হয়ে নিজের মেডিকেলের বাইরে পুলিশ ডিপার্টমেন্ট বা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে | বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিতে গিয়ে পরিচয় হয় তিথির সাথে। খেদু মিয়ার ক্লাস করে তিথি জানতে পারে মৃতদেহ স্পর্শ করে শারীরিক ও মানসিক আনন্দ লাভের ভয়ংকর এক মানসিক রোগে আক্রান্ত তিথি | মৃতদেহের খোঁজে সে হন্যে হয়ে ঘুরতে থাকে কবর থেকে কবরে। তিথিকে সুস্থ করার উপায় খোঁজার এক পর্যায়ে মৃত খালেক স্যারের মাধ্যমে পূর্বপুরুষের ভয়ঙ্কর এক পাপের কথা জানতে পারে খেদু মিয়া; তারা বাড়ির এক ভৃত্যকে পিটিয়ে মেরেছিল ভাত চুরি করে খাবার অপরাধে। পূর্বপুরুষের পাপের প্রায়শ্চিত্ত আর তিথিকে সুস্থ করে তোলার জন্য ভয়ঙ্কর এক ঝুঁকির মুখে নিজেকে ঠেলে দেয় খেদু মিয়া! কিন্তু সবকিছু কি চাইলেই করা যায়???
হাড় ভাঙা জোড়া দেয়ার পাশাপাশি লেখালেখির চর্চা চলছে সমান্তরালে | অসীম হিমেল পেশায় একজন অর্থোপেডিক সার্জন হিসাবে নিয়োজিত থাকলেও সাহিত্যের পাতায় লিখে যাচ্ছেন গল্প, উপন্যাস। মধ্যরাতের অভিযান নামক কিশোর উপন্যাস দিয়ে যাত্রা শুরু করে একে একে লিখেছেন জোছনায় নীল আকাশ , খেদুমিয়া , ভাওয়াল উপাখ্যান মেজোকুমার এক সন্ন্যাসী রাজা ,দূরবীনে ব্যাকবেঞ্চার ও ধুম্রজালে খেদুমিয়া। প্রতিটি গল্প, উপন্যাস পেয়েছে পাঠকপ্রিয়তা। বর্তমানে জাতীয় অর্থোপেডিক ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), পঙ্গু হাসপাতালে কনসালটেন্ট হিসাবে কর্মরত।