বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্রের তালিকার উপরের দিকে যে নামটি পাওয়া যায় তা 'জীবন থেকে নেয়া' এবং সেরা চলচ্চিত্রকারের তালিকায় অবধারিতভাবে আসে জহির রায়হানের নাম। তবে জীবন থেকে নেয়া ছাড়াও স্বাধীনতাপূর্ব বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে জহির রায়হানের নির্মাণের ঝুলিতে রয়েছে আরও দূর্দান্ত সব কাজ। জীবন থেকে নেয়া, বেহুলা, কাঁচের দেয়াল, স্টপ জেনোসাইডের মত কালজয়ী সব চলচ্চিত্রের স্রষ্টা, প্রখ্যাত বাংলাদেশী চলচ্চিত্রকার ও লেখক জহির রায়হানের চলচ্চিত্রকর্মের উপর রচিত গবেষণাগ্রন্থ 'লেট দেয়ার বি লাইট'। গবেষণাগ্রন্থটি তার নির্মিত সকল চলচ্চিত্রকে একই বইয়ে এনে সাধারণ পাঠকদের জন্য একটা সামগ্রিক আলোচনার প্রয়াসমাত্র। জহির রায়হানের সহজ চলচ্চিত্রপাঠ, উপ-শিরোনামের এই বইটির মাধ্যমে পর্বতসম সাহসী, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এবং দেশপ্রেমিক এই ব্যক্তিত্বের চলচ্চিত্র নির্মাণের দিকটি নিয়ে নতুন যুগের পাঠক, চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জানার খোরাক কিছুটা মেটাতে পারা বইটির মূল লক্ষ্য। লেট দেয়ার বি লাইট বইটির নামকরণ করা হয়েছে জহির রায়হানের স্বপ্নের অসমাপ্ত একই নামের সিনেমাটিকে সম্মান জানিয়ে। বইটিতে গুণী এই মানুষটির শুধুমাত্র চলচ্চিত্র নির্মাণ ও পরিচালনার দিকটিতে আলোকপাত করা হয়েছে। সিনেমাগুলো নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি লেখাগুলোর শেষে যুক্ত করা হয়েছে কিউআর কোড যার মাধ্যমে মোবাইলে স্ক্যান করেই পাঠকেরা দেখতে পারবে জহির রায়হানের কালজয়ী চলচ্চিত্রগুলো।
জন্ম ৩১ শে অক্টোবর। ফরিদপুরে জন্ম নিলেও বাল্যকাল কেটেছে মাদারীপুর ও পটুয়াখালীতে। পৈত্রিক বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। পটুয়াখালী সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তারপর ঢাকা আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রোকৌশল (ইইই) তে স্মাতক ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) থেকে স্নাতকোত্তরের (ইএমবিএ) পাট চুকিয়েছেন। বর্তমানে কর্মরত আছেন ডিজিটাল সার্ভিস বিশেষজ্ঞ হিসেবে একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার হলেও লেখালেখি তার নেশা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই টুকটাক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বানাতেন, লেখালেখিও করতেন। এ পর্যন্ত বানিয়েছেন গোটা পাঁচেক স্বল্পদৈর্ঘ্য। কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রতিষ্ঠাকালীন সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্বও পালন করেছেন। বর্তমানে নিয়মিত লিখছেন ভোরের কাগজ সহ আরো কিছু জাতীয় দৈনিক ও অনলাইনে। সঙ্গে “ফুডিশিয়াস ঢাকা” নামে তিনি একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছেন যেটি দিয়ে বাংলাদেশের কিছু ভালো দিককে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার খুব ইচ্ছে তার। ইচ্ছে আছে মনের খোরাক হিসেবে লেখালেখি ও প্রামাণ্যচিত্র বানিয়েই বাকী জীবন কাটিয়ে দেয়ার। সংসারের একমাত্র সন্তান হিসেবে বাবা, মা ও স্ত্রীকে নিয়ে তার জীবন। প্রিয় বিষয় ক্রিকেট, চলচ্চিত্র, ভোজনবিলাশ, প্রত্নতত্ত্ব, ধর্ম ও দর্শন, ভ্রমন, ইতিহাস, ব্যবসায়ে শিক্ষা, ফটোগ্রাফি, টেকনোলোজি ও নানা কিছু। লেখকের প্রকাশিত প্রথম বই “মহারাজা তোমারে সেলাম”।