"কাব্য, বা কাব্য নয়" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ কবির চেতনাগত উপলব্ধির শৈল্পিক প্রকাশ হলাে কবিতা। আবার কবি মনের সুপ্ত ভাব, প্রেম, দ্রোহ ও সংক্ষোভের বহিঃপ্রকাশও কবিতা। কবিতা যেমন মানুষকে ভালােবাসতে শেখায়, তেমনি প্রতিবাদীও করে কখনাে কখনাে মানুষকে নির্মল আনন্দ দান করে, কখনাে-বা দ্রোহ, সংক্ষোভ আর বিরহী করে তােলে। মুম্বত কবির শক্তিশালী কল্পনা, চিত্রকল্প, অলংকার ও উপমার ব্যবহারে কবিতা হয়ে ওঠে মহৎ অভিব্যক্তির প্রকাশ। মােহাম্মদ আনােয়ারের ‘কাব্য, বা কাব্য নয়' বইয়ের বিষয়বৈচিত্র্য ও কবিতার অন্তর্গতভাষ্য বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিতরূপে উদ্ভাসিত। দেখা যায়, তার কবিতার বড়াে অংশজুড়ে আছে মানব-মানবীর প্রেমের বহুমাত্রিক রূপ। সেইসঙ্গে দ্রোহও বিশেষ এক স্থান করে আছে। ‘কাব্য, বা কাব্য নয়’ গ্রন্থের কোনাে কবিতার শিরােনাম নেই। ক্রমিক নম্বর আছে। এটাও এক বিশেষত্ব। ফলে গ্রন্থে স্থান পাওয়া বায়ান্নটি কবিতা হয়ে উঠেছে একটি কাব্যোপাখ্যান। সেই কাব্যোপাখ্যান পাঠককে যেন নিমেষেই অন্তরঙ্গভাবে মােহিত করে, একাত্ম করে নেয় পঙক্তির পর পঙক্তিতে। প্রেমের সুতীক্ষ্ণবােধ ও দ্রোহ-সংক্ষোভকে মােহাম্মদ আনােয়ার সাবলীল এবং ইতিহাসের সীমারেখায় প্রতিস্থাপন করেছেন শব্দ-উপমাঅলংকার ও চিত্রকল্পের সমন্বয়ে। আশা করি কাব্যগ্রন্থটি পাঠকের কাছেও বিশেষায়িতভাবেই মূল্যায়িত হবে।