বাস্তবতায় নেইতো আমি স্বপ্নে সাজাই ঘর, বাস্তবতা মানেই এখন মানুষ স্বার্থপর। স্বার্থ আছে প্রয়োজনে সবাই সবার হয়, দুঃসময়ে প্রিয়জনও ব্যস্ততাতে রয়। . সবার কাজের গতি বাড়ে সময় পাওয়া ভার, জীবন পথে একাই করো খারাপ সময় পার। আকুল হয়ে খুঁজবে যাদের রইবে তারা দূর, কণ্ঠে তাদের শুনবে শুধু বিমর্ষতার সুর। . রাস্তাঘাটে দেখে তোমায় মেলাবে না চোখ, আনমনে সে চলে যাবে যেন অচিন লোক। তুমি দেখে কষ্ট পাবে রইবে তবু চুপ, এমনি করেই চিনবে কত প্রিয়জনের রূপ। . সুসময়ে যারা দিত কাছে টেনে বুক, দুঃসময়ে দেখবেও না তুমি তাদের মুখ। কত আপন হয়ে যাবে চোখের সামনে পর, বুঝে যাবে কাদের নিয়ে বেঁধেছিলে ঘর। . দুঃখ শোকের পরে সবার আসে আলোর দিন, তুমি তাদের শুধে দিয়ো অবহেলার ঋণ। তবে সেটি ভালোবাসার নয়তো একই ভুল, তাদের কাঁটায় গেঁথে দিয়ো ফুটন্ত লাল ফুল। বাস্তবতায় তাদের যদি খারাপ সময় হয়, তুমি তাদের পাশে থেকো তাদের মতো নয়। ঘৃণার বদলা ভালোবাসা ভালোবেসেই যাও, ভালোবাসাই হোক প্রতিশোধ এই প্রতিশোধ নাও। . দুঃসময়ে দেয়নি যারা ছেড়ে তোমার হাত, যাদের সাথে পার করেছো অমাবস্যা রাত। তারাই তোমার মূল প্রিয়জন আপন করে নাও, বাস্তবতায় তারাই রবে যখন পাশে চাও।
রাকিবুল এহছান মিনার . বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অন্যতম সমৃদ্ধ জেলা ফেনী। কবি নবীনচন্দ্র সেনের জেলা হিসেবে পরিচিত এ জেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ্ কায়সার, সিরাজুল হক খান, সেলিনা পারভিন, জহির রায়হান ও নাট্যকার সেলিম আল দীন-সহ অনেক দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব। . সাহিত্য সংস্কৃতির এই উর্বর ভূমিতেই গত শতাব্দীর বিদায়ের ক্ষণে এসে জন্ম হয় বর্তমান সময়ের উদীয়মান তরুণ কবি ও গীতিকার রাকিবুল এহছান মিনারের। আর পাঁচজন সাধারণ ছেলের মতোই আবাহমান গ্রাম বাংলায় জন্মগ্রহণ করা ও বেড়ে ওঠা এ ছেলেটির মা-বাবাও হয়তো ভাবতে পারেননি, তারা কেমন একজন আলোকিত মানুষের জন্ম দিয়েছেন ও বেড়ে তুলেছেন। তারা কি জানতেন? একদিন তাদের জন্ম দেওয়া সেই ছোট্ট শিশুটি বড়ো হয়ে তার কাব্য প্রতিভায় আলোকিত করবে দেশ ও জাতি। তার লেখনীতে আলোর পথ খুঁজে পাবে পথহারা মানুষেরা। নতুন ভোরের স্বপ্ন দেখতে পাবে দুঃস্থ অসহায় ও মাজলুম মানুষেরা। . অতি যতনে বাবা-মা যার নাম রেখেছিলেন রাকিবুল এহছান মিনার। আজ যেন সেই নামেরই প্রতিফলন তার ব্যক্তিচরিত্রে পরিলক্ষিত হচ্ছে। মহান আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম ‘ইয়া রাকিবু’ থেকে নেওয়া রাকিব নামটি। দেশব্যাপী মানবতার কল্যাণে কাজ করা ‘পথের ফুল ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা এ কবি নিয়মিত সামাজিক ও মানবিক কাজের মাধ্যমে নিজের এহছান নামের প্রতি যেমন সুবিচার করে যাচ্ছেন, তেমনই বর্তমান বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে সে সাহিত্যের উচ্চ মিনারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তার লেখনীর মাধ্যমে। . অপসংস্কৃতি ও পশ্চিমা শিক্ষাব্যবস্থার প্রভাবে আমাদের দেশের ছাত্র যুবসমাজ যখন অশ্লীলতা বেহায়াপনা ও মাদকতার দিকে ক্রমবর্ধমানহারে ঝুঁকে যাচ্ছে, তখন কবি রাকিবুল এহছান মিনার নিয়মিত তার গান কবিতার মাধ্যমে তাদের আলোর পথে আহ্বান করে যাচ্ছেন। শুধুমাত্র নিজের কাব্য রচনায় সীমাবদ্ধ না থেকে লেখালিখিতে আগ্রহী তরুণদেরকে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় কাব্য রচনায় নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। . ব্যক্তি জীবনে তিনি একজন প্রবাসী। নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর শুধু কলমের মাঝেই নয়, নিজের কর্মক্ষেত্রেও রেখেছেন। বর্তমানে তিনি সৌদি আরবের একটি স্বনামধন্য কোম্পানীতে ‘পরিমাণ পরিমাপক’ পেশায় সুনামের সহিত নিয়জিত আছেন। . সাহিত্যকর্মে নিয়মিত অবদান রেখে যাওয়া এই তরুণ কবির ইতোমধ্যে চারটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যগ্রন্থগুলো হলো— নিজকে গড়ো, চেহারায় মানুষ, ছন্দে গাঁথা বারুদ ও হৃদয়ের অগ্ন্যুৎপাত। বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিতায় কবির এবারের আয়োজন তার পঞ্চম কাব্যগ্রন্থ আসছে ‘প্রিয়তমা—তোমাকে যেভাবে চাই’। . আশা করছি, কবি রাকিবুল এহছান মিনারের প্রকাশিতব্য কাব্যগ্রন্থ ‘প্রিয়তমা—তোমাকে যেভাবে চাই’ বইটি পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলবে এবং বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য প্রকাশনা হিসেবে কাল জয় করবে, ইনশাআল্লাহ।