স্মৃতি ও সত্তার উন্নতি আমাদের জীবনবাদী কর্মসূচিরই একটি অংশ। কেননা, এগুলি ব্যক্তিমানুষের ক্ষমতায়নে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি যে বাড়ানো যায় তা অনেকেই প্রমাণ করেছেন। জৈনক এক ব্যক্তি বলে এক তরুণের সঙ্গে আলাপ হয়। তিনি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। এখন স্মৃতিশক্তি বাড়াবার জন্য বিভিন্ন জায়গায় কর্মশালা করেন। তিনি একবার শুনেই যে কোনো বিশাল অঙ্কের সংখ্যা মনে রাখতে পারেন। এটি ম্যাজিক নয়। একটি বিশেষ পদ্ধতির প্রয়োগ। সেই ব্যক্তি আমাকে জানান, ছাত্রজীবনে তিনি খুবই সাধারণ ছাত্র ছিলেন। তখনও পর্যন্ত স্মৃতিশক্তি বাড়াবার পদ্ধতির কথা তিনি জানতেন না। এখন তাঁর ছাত্ররা স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে অনেক লাভবান হয়েছে। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত নানা বই পড়তে পড়তে ও আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার নিরিখে ধারণা হয়েছে যে একটু নিয়ম মাফিক পড়লে বহু জিনিসই মনে রাখা যায়। কীভাবে পড়লে পড়াটা বৃথা যায় না সেকথা বলার জন্যই এই বই-এর অবতারণা। ছাত্রজীবন শেষ করার পর কর্মজীবনে ও সংসার জীবনে স্মৃতিশক্তির নিত্য প্রয়োজন হয়। একটু নিয়মমাফিক চললেই প্রয়োজনীয় বিষয় মনে রাখতে বেগ পেতে হয় না। আমি এই বইতে গল্পচ্ছলে তাঁদের কিছু পরামর্শ দিয়েছি।
ড. পার্থ চট্রোপাধ্যায়ের জন্ম উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গা গ্রামে। ১৯৫৯ সালে স্থানীয় কলেজ থেকে গ্রাজুয়েট হয়ে তিনি মাত্র ত্রিশ টাকা সম্বল করে কলকাতায় এসে সংবাদপত্র যোগ দেন। সাংবাদিকতার চাকরির সঙ্গে সঙ্গে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা চলতে থাকে। তারপর হঠাৎই কমনওয়েলথ সাংবাদিক বৃত্তি পেয়ে ব্রিটেনে চলে যান সংবাদপত্র সম্পর্কে হাতে-কলমে পাঠ নিতে। ১৯৬১ তে দেশে ফিরে এক নাগাড়ে চারটি পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন ৩৭ বছর ধরে। বেশির ভাগ সময় ছিলেন আনন্দ বাজারে। চার বছর ‘পরিবর্তন’ পত্রিকার সম্পাদনা করেন। ১৯৯৮ সালে অসম বিশ্ববিদ্যালয়ে গণজ্ঞাপন বিভাগের অধ্যক্ষ ও ডিনের পদে যোগ দেন। ২০০২ সালে অবসর নিয়ে এখন সর্বসময়ের লেখক। সারা প্রথিবী ঘুরেছেন বহুবার। বহু পুরস্কার ও সম্মান পেয়েছেন। ১৯৭৪ সালে পান আন্তর্জাতিক জেফারসন ফেলোশিপ। ইংল্যান্ড ও আমেরিকায় ছিলেন বেশ কিছুকাল। বই এর সংখ্যা ৮৮। গল্প উপন্যাস, ভ্রমণ, প্রবন্ধ। এখন বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন জীবনবাদী বই লেখায় আর যুব ও ছাত্রদের মধ্যে মূল্যবোধ ও ব্যক্তিত্বগঠনের জন্য তৈরি করেছেন সিপডাভে নামে একটি প্রতিষ্ঠান।