হঠাৎ বাদলের দৃষ্টি স্থির হলো সোটেরিয়া থেকে ব্যস্ত ভঙ্গিতে বেরিয়ে আসা এক তরুণীর ওপর। সোটেরিয়া বাস্তিলের একটি ব্যস্ততম নাইট ক্লাব। কাঁধে ঝোলানো ছোট্ট ভ্যানিটি ব্যাগের চেইন খুলে কিছু একটা খুঁজতে খুঁজতে ক্লাব থেকে বেরিয়ে আসছে মেয়েটি। দোহারা গড়নের এক ইউরোপিয় তরুণী। পায়ে টকটকে লাল হাই হিল, সঙ্গে স্কিন কালার সক্স। পরনে ফিনফিনে সাদা শার্টের সঙ্গে কোমর থেকে হাঁটু অবধি নেমে আসা মেরুনরঙা মিনিস্কার্ট। শার্টের উপরের দুটি বোতাম খোলা। তাতে ফর্সা বুকের খানিকটা উন্মুক্ত হয়ে যেন এক গভীর রহস্যের জন্ম দিয়েছে। বব কাট চুলে ঢাকা পড়েছে চিবুকের অনেকখানি। ঠোঁটযুগল রক্তিম গোলাপের মতো। বোঝাই যাচ্ছে, পিংক কালারের হাওয়াই লিপস্টিক দেয়া। ক্ষণিকের জন্য হিপনোটাইজড হয়ে গেল বাদলের পুরো অস্তিত্ব। এ যেন প্রেমের দেবী আফ্রোদিতি! হঠাৎ বাদলের দৃষ্টি স্থির হলো সোটেরিয়া থেকে ব্যস্ত ভঙ্গিতে বেরিয়ে আসা এক তরুণীর ওপর। সোটেরিয়া বাস্তিলের একটি ব্যস্ততম নাইট ক্লাব। কাঁধে ঝোলানো ছোট্ট ভ্যানিটি ব্যাগের চেইন খুলে কিছু একটা খুঁজতে খুঁজতে ক্লাব থেকে বেরিয়ে আসছে মেয়েটি। দোহারা গড়নের এক ইউরোপিয় তরুণী। পায়ে টকটকে লাল হাই হিল, সঙ্গে স্কিন কালার সক্স। পরনে ফিনফিনে সাদা শার্টের সঙ্গে কোমর থেকে হাঁটু অবধি নেমে আসা মেরুনরঙা মিনিস্কার্ট। শার্টের উপরের দুটি বোতাম খোলা। তাতে ফর্সা বুকের খানিকটা উন্মুক্ত হয়ে যেন এক গভীর রহস্যের জন্ম দিয়েছে। বব কাট চুলে ঢাকা পড়েছে চিবুকের অনেকখানি। ঠোঁটযুগল রক্তিম গোলাপের মতো। বোঝাই যাচ্ছে, পিংক কালারের হাওয়াই লিপস্টিক দেয়া। ক্ষণিকের জন্য হিপনোটাইজড হয়ে গেল বাদলের পুরো অস্তিত্ব। এ যেন প্রেমের দেবী আফ্রোদিতি!
শূন্য দশকের একজন উল্লেখযোগ্য লেখক ইমন চৌধুরী। এ সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক। জন্ম ১৮ জুন। নোয়াখালীর মাইজদী সরকারি কলোনিতে। পিতা মফিজুর রহমান চৌধুরী’র সরকারি চাকরির সুবাদে শৈশবের একটি উল্লেখযোগ্য সময় কেটেছে এখানে। মা দেলোয়ারা বেগম গৃহিনী। পৈতৃক বাড়ি ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার পৈথারা গ্রামে। ফেনী সরকারি পাইলট হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ফেনী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। প্রথম আলো পত্রিকার এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় সাপ্তাহিক রম্য ও বিদ্রুপ ম্যাগাজিন ‘আলপিন’-এর মাধ্যমে প্রথম হাজির হয়েছিলেন পাঠকের সামনে। এরপর ইত্তেফাক, সমকাল, যুগান্তর, কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব সংবাদপত্রেই নিয়মিত লিখেছেন। লিখছেন এখনও। সামাজিক অসঙ্গতি নিয়ে রম্য ও বিদ্রুপ লিখে জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও ইমন চৌধুরী জীবনঘনিষ্ঠ গল্প-উপন্যাস লিখতেই বিশেষ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। প্রথম প্রকাশিত বই ‘লাল পাড় সাদা শাড়ি’। প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘মেঘের কাছে রোদের কাছে’। উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে ‘পাশের মানুষ’, ‘পায়ে তার কাচের নূপুর’, ‘এই বসন্তে এসো’, ‘রোদ পড়েছে ডানায়’, ‘ডেকে যায় ফাল্গুনের রোদ’, ‘অন্তহীন’ অন্যতম। লেখালেখির সূত্রেই পেশাগত জীবনে বেছে নিয়েছেন সাংবাদিকতা। বর্তমানে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় জৈষ্ঠ সহ-সম্পাদক পদে কর্মরত আছেন। জীবন নিয়ে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। রোগ, শোক, মহামারী, অনিশ্চয়তার এই মানব জীবনে মহাকালের কাছে কিছু গল্প জমা রেখে যেতে চান কেবল।