শিক্ষা মানুষের জীবনধারণ ও উন্নতির প্রধানতম নিয়ামক হিসেবে আখ্যায়িত। শিক্ষার মাধ্যমেই এক সময়কার গুহাবাসী আদিম মানুষ আজ বিস্ময়কর সভ্যতার বিকাশ ঘটিয়েছে। ফ্রান্সের সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের শিক্ষিত জাতি দেব।’ অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ ‘সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে শিক্ষার গুরুত্বকে অপরিহার্য বলে দাবি করেছেন।’ হাদিসে আছে ‘দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত শিক্ষা অর্জন করো।’ যে জাতি শিক্ষা-দীক্ষায় যত উন্নত, সে জাতির জ্ঞান-বিজ্ঞান, শৌর্য-বীর্য ও প্রভাব-প্রতিপত্তি তত বেশি। শিক্ষা-বিবর্জিত মানুষ জাতিকে করে রাখে ন্যুব্জ এবং দীপ্তিহীন। বস্তত, সুশিক্ষাই পারে জাতিকে গতিশীল করতে এবং আশা ও স্বপ্ন দেখার সাহস জোগাতে। তাই ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে শিক্ষা ও দেশপ্রেমের গুরুত্ব অপরিহার্য। পৃথিবীর প্রগতি ও প্রাচুর্য্যরে মূলে রয়েছে শিক্ষা ও জ্ঞানের বিস্তৃত প্রভাব। শিক্ষা মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক, সংস্কৃতিমনা, ন্যায়বোধ, কর্তব্যপরায়ণ, শৃঙ্খলাবোধ, আচরণবিধি, ধর্মনিরপেক্ষতা, বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব, সহাবস্থান, দেশ ও জনগণের প্রতি ভালোবাসাবোধ, নৈতিক ও আধ্যাত্মিক অন্তর্নিহিত গুণ উন্মোচনে সহায়তা করে। মানুষের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান, জীবন দক্ষতার উন্নয়ন, দৃষ্টিভঙ্গির গুণগত পরিবর্তন এবং সামাজিক সচেতনতা বাড়ায়। নতুন প্রজন্মের মাঝে নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধের চর্চা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ‘শিক্ষা ও জীবনবোধ : প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম’ বইটির বিভিন্ন অধ্যায়ে কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত¦, মানবপ্রেমিক মহাপুরুষদের সফলতার ঘটনা ও নির্দেশনার আলোকপাত করা হয়েছে।