মহাবিশ্বে মহাবিস্ফোরণের ঘটনাটি অনুষ্ঠিত হয় প্রায় তেরো কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দে। প্রচুর তাপ ও শক্তি নিয়ে মহাবিশ্বের প্রসারণ শুরু হয়। সেইসঙ্গে প্রচুর গ্যাসীয় ধূলিকণা ও আণবিক মেঘ তৈরি হয়। কোটি কোটি বছরে এই গ্যাসীয় ধূলিকণা ও আণবিক মেঘ থেকে তৈরি হয় নীহারিকা, নক্ষত্র (তারাগুছ), নক্ষত্রপুঞ্জ, ছায়াপথ, সৌরজগৎ, ধূমকেতু, উল্কা, গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণু, গ্রহাণুপুঞ্জ, রাশিচক্র ইত্যাদি। এক বিন্দুর বিস্ফোরণেই সৃষ্টি হয় অনন্ত অসীম চিরসম্প্রসারণশীল মহাবিশ্বের সবকিছু। আমাদের সৌরজগৎ হচ্ছে সূর্য ও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সূর্যপ্রদক্ষিণকারী (পরস্পরের প্রতি অভিকর্ষশক্তির টানে আবদ্ধ) মহাজাগতিক বস্তুসমূহকে নিয়ে গড়ে ওঠা একটি জগৎ। সূর্যকে কেন্দ্র করেই সৌরজগতের শৃঙ্খলা বর্তমান। এই সৌরজগতেই রয়েছে অসাধারণ মহাশূন্যযান পৃথিবীটি। সূর্যকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে পৃথিবী। আমরা সচল পৃথিবীর প্রাণী। পৃথিবী তার জীবপ্রাণী নিয়ে ছুটে চলেছে নিরন্তর। ড. মুকিদ চৌধুরী ‘পৃথিবী’ গ্রন্থে আজকের প্রজন্মের সামনে মহাবিশ্ব ও পৃথিবীর ইতিহাসকে বিস্তৃতভাবে উন্মুক্ত করার চেষ্টা করেছেন। মহাবিশ্ব ও পৃথিবীর অজস্র আবিষ্কৃত সত্য, একজন কবি, নাট্যকার, কথাসাহিত্যিকের ছোঁয়ায় হয়ে উঠেছে নাট্যকাব্যসাহিত্যের জ্যোতির্বিজ্ঞান। এখানেই এই গ্রন্থের অভিনবত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব।