"অটিজমের নীল জগত" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ দেশে অটিস্টিক শিশুদের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে কিন্তু তাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য তেমন কোন ব্যবস্থা নাই। তাদের জন্য যেসব স্কুল রয়েছে তার সবগুলি আবার শহরেই অবস্থিত। এইসব প্রতিষ্ঠানে যে সব শিক্ষক রয়েছেন তাদের অটিজম বিষয়ক কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নাই। স্কুল কর্তৃপক্ষ অধিকাংশ সময়ই যাদের শিক্ষক হিসেবে নিয়ােগ দেন তাদের কর্মক্ষেত্রে গিয়েই অটিস্টিক শিশু প্রথম দেখতে হয়। তাছাড়া অটিস্টিক শিশুদের শিক্ষাদানের পূর্বে তাে দূরের কথা শিক্ষকতা শুরুর পরেও তারা অটিজম আক্রান্ত শিশুদের শিক্ষাদানের জন্য প্রয়ােজনীয় কোন প্রশিক্ষণ পান না। ফলে এই বিষয়ে তারা যে জ্ঞান অর্জন করেন তার সবটাই ‘কর্মকালিন প্রশিক্ষণ’ যা সমস্যা সমাধানের জন্য মােটেও উপযােগী নয় বরং অনেক সময় তারা নিজেদের অজান্তেই ঐ সব শিশুর উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি করেন। অপরদিকে বাড়িতে তাদের বাবা-মাও পর্যাপ্ত ধারণার অভাবে এই সব শিশুর কোন উপকার করতে পারেন না। এই গ্রন্থটি তাই ঐ সব শিক্ষক ও পিতামাতার জন্য প্রণীত হয়েছে যাতে করে তারা অটিস্টিক শিশুর সম্পর্কে কিছুটা হলেও বিজ্ঞানসম্মত জ্ঞান অর্জন করতে পারেন এবং প্রয়ােজনীয় ক্ষেত্রে শিশুদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। গ্রন্থটি অত্যন্ত সহজ ভাষায় এবং বৈজ্ঞানিক জটিলতা বর্জন করে মােট ১৫টি অধ্যায়ে সম্পন্ন করা হয়েছে। এতে রয়েছে অটিজমের মৌলিক পরিচিতি এবং এর সাথে কার্যকরভাবে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য বেশ কিছু দিক নির্দেশনা। তাছাড়া দেশে ও বিদেশে অটিস্টিক শিশুদের সেবাদানের জন্য নিয়ােজিত কিছু প্রতিষ্ঠান এবং বাবামা, শিক্ষক ও পেশাজীবিদের জন্য কিছু সহায়ক গ্রন্থেও উল্লেখ করা হয়েছে যাতে করে তারা অটিস্টিক শিশুদের মঙ্গলার্থে এই সব উৎসের সঠিক ব্যবহার করে কিছুটা হলেও উপকার পেতে পারেন।