ইসলাম নারীকে তার ¯্রষ্টা-প্রদত্ত অধিকার দিয়েছে―ঘর থেকে বের না করেই। পাশ্চাত্যে শিল্পবিপ্লবের আগেও নারীদের গৃহে অবস্থান ছিল বাধ্যতামূলক। কিন্তু এর পরেই অর্থনৈতিক উন্নতির স্বার্থে তাদের ঘর থেকে বের করা হয় এবং নারী স্বাধীনতার নামে তাদের বিভিন্ন পেশা গ্রহণে বাধ্য করা হয়। আধুনিক শক্তিশালী মিডিয়ার প্রপাগা-ার অন্যতম আকর্ষণীয় বিষয় এই ‘নারী-স্বাধীনতা’। এ থেকে মুসলিম বিশ্বও বাদ যায়নি। এটি এতই মারাত্মক যে, মুসলিম নারীরা ইসলাম থেকেই ছিটকে পড়ছে এবং পাশ্চাত্যের অসামাজিক জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। এখন মুসলিম সমাজেও অনৈতিক সম্পর্ক ও ডিভোর্সের মহামারি শুরু হয়ে গিয়েছে। এ থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় ইসলামের প্রথম যুগের মহীয়সী নারীদের জীবনী অধ্যয়ন এবং তা থেকে শিক্ষাগ্রহণ। এ লক্ষ্যেই বক্ষমাণ গ্রন্থটি তাবেয়ী নারীদের আলোকিত জীবন লেখা হয়েছে। তথ্যসমৃদ্ধ ও সহজবোধ্য ভাষায় অনুবাদকৃত এ কিতাবটি এদেশের মুসলমানদের ইসলামের পথে আরও অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে এক অনবদ্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে, ইনশাআল্লাহ। লেখক পরিচিত ড. আহমাদ খলীল জুমআহ ১৯৫৩ সালে সিরিয়ার দামেস্কে জন্মগ্রহণ করেন। দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি নেওয়া বরেণ্য এই শিক্ষাবিদ কায়রো ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ভাষায় আলেম সাহাবীগণের সাহিত্য বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তারপর একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক শিশুসাহিত্য-এ কৃতিত্বের সাথে পিএইচডি করেন। বিভিন্ন বিষয়ে ষাটের বেশি বই মুদ্রিত হয়েছে খ্যাতনামা এই লেখকের। তম্মধ্যে রয়েছে খুলাফায়ে রাশেদীন, সাহাবায়ে কেরাম এবং তাবেয়ীদের জীবনীভিত্তিক বই। এছাড়া তিনি আরব ও মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন যুগের মহিলাদের নিয়ে প্রচুর লেখালেখি করেছেন। তিনি এখনো সমানভাবে লিখে যাচ্ছেন। আল্লাহ তাঁর গবেষণা, অধ্যয়ন ও লেখালেখি দ্বারা জাতিকে আরও উপকৃত করুন।