আমার নাম ইভান। এই বইয়ের প্রধান চরিত্র। তবে আমি যে কী ভয়ংকর ঝামেলার মধ্যে আছি, সেটা এত কম শব্দে এখানে লিখে বোঝানো সম্ভব নয়। বর্তমানে বাসায় একেবারে মানবেতর জীবন যাপন করছি আমি। একটা ফার্নিচারের গুরুত্ব থাকলেও বাসায় আমার কোনো গুরুত্বই নেই। আমি বাজার-সদাই করে দেই, মেহমান আসলে দোকানে যাই, ডিশের লাইন, ইন্টারনেটের লাইনওয়ালাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি, বিদ্যুতের বিল দেই এবং বাসার প্রতিটি সদস্যের ঝাড়ি খাই।br এত কিছুর পরও ‘তুই তো বাসার কোনো কাজ করিস না’ টাইপ অভিযোগ আমার ওপর এসে পড়বে- এটা আমি মেনেই নিয়েছি। কিন্তু এভাবে কি জীবন চলবে? একটা মাত্র প্রেমিকা, তারও বিয়ে হতে বসেছে। এখন আমার অ্যাকশনে না গিয়ে উপায় কী! আমার সব বন্ধুই বিবাহিত হয়ে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। এদের সঙ্গে আর কোনো আলোচনায় যাওয়া যায় না। মেসির কেন ম্যানচেস্টার সিটিতেই যাওয়া উচিৎ এ নিয়ে যখন আলোচনা জমে ওঠে, ঠিক তখন বিবাহিত বন্ধুর কাছে ফোন আসে। বন্ধু একপাশে সরে গিয়ে ‘আচ্ছা, আচ্ছা’ করে মাথা নেড়ে ফিরে এসে বলে, ‘ভুলেই গিয়েছিলাম এক হালি ডিম কিনতে হবে। যাই রে, পরে দোকান বন্ধ হয়ে যাবে।’ দুর্বিষহ অফিসের পর ছুটির দিনে বন্ধুদের সঙ্গে যে আড্ডা মারব, সে সুযোগও নেই।br সব কয়টা হয় শ্বশুরবাড়ি, না হয় শ্বশুর তাদের বাড়ি। এর বাইরেও তো একটা জীবন আছে নাকি? আর এদের সঙ্গে কথা বলাও কঠিন। যদি বলি, ‘মন খারাপ’, বলবে ‘বিয়া কর, মন ভালো হয়ে যাবে।’ আবার যদি বলি, ‘মন ভালো’, বলবে, ‘বিয়া কর, তখন দেখব কেমনে মন ভালো থাকে।’ কী একটা অবস্থা! আমার নাম ইভান। এই বইয়ের প্রধান চরিত্র। তবে আমি যে কী ভয়ংকর ঝামেলার মধ্যে আছি, সেটা এত কম শব্দে এখানে লিখে বোঝানো সম্ভব নয়। বর্তমানে বাসায় একেবারে মানবেতর জীবন যাপন করছি আমি। একটা ফার্নিচারের গুরুত্ব থাকলেও বাসায় আমার কোনো গুরুত্বই নেই। আমি বাজার-সদাই করে দেই, মেহমান আসলে দোকানে যাই, ডিশের লাইন, ইন্টারনেটের লাইনওয়ালাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি, বিদ্যুতের বিল দেই এবং বাসার প্রতিটি সদস্যের ঝাড়ি খাই।br এত কিছুর পরও ‘তুই তো বাসার কোনো কাজ করিস না’ টাইপ অভিযোগ আমার ওপর এসে পড়বে- এটা আমি মেনেই নিয়েছি। কিন্তু এভাবে কি জীবন চলবে? একটা মাত্র প্রেমিকা, তারও বিয়ে হতে বসেছে। এখন আমার অ্যাকশনে না গিয়ে উপায় কী! আমার সব বন্ধুই বিবাহিত হয়ে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। এদের সঙ্গে আর কোনো আলোচনায় যাওয়া যায় না। মেসির কেন ম্যানচেস্টার সিটিতেই যাওয়া উচিৎ এ নিয়ে যখন আলোচনা জমে ওঠে, ঠিক তখন বিবাহিত বন্ধুর কাছে ফোন আসে। বন্ধু একপাশে সরে গিয়ে ‘আচ্ছা, আচ্ছা’ করে মাথা নেড়ে ফিরে এসে বলে, ‘ভুলেই গিয়েছিলাম এক হালি ডিম কিনতে হবে। যাই রে, পরে দোকান বন্ধ হয়ে যাবে।’ দুর্বিষহ অফিসের পর ছুটির দিনে বন্ধুদের সঙ্গে যে আড্ডা মারব, সে সুযোগও নেই।br সব কয়টা হয় শ্বশুরবাড়ি, না হয় শ্বশুর তাদের বাড়ি। এর বাইরেও তো একটা জীবন আছে নাকি? আর এদের সঙ্গে কথা বলাও কঠিন। যদি বলি, ‘মন খারাপ’, বলবে ‘বিয়া কর, মন ভালো হয়ে যাবে।’ আবার যদি বলি, ‘মন ভালো’, বলবে, ‘বিয়া কর, তখন দেখব কেমনে মন ভালো থাকে।’ কী একটা অবস্থা!