কবিতার রস অলংকার ছন্দ উপমা চিত্রকল্পসহ নানা দিক রয়েছে। একটি সফল কবিতার মধ্যে এই বিষয়গুলোসহ আরো নানান নতুনত্ব যুক্ত করেন একজন সুদক্ষ শব্দ প্রকৌশলি বা ভাষা প্রকৌশলি বা কবি। মানুষ মাত্রই তার মধ্যে রয়েছে স্মৃতি আবেগ ভালোবাসা। বাংলা কবিতার মহাসড়কে ‘অবশেষে তুমি এলে’ বইটি আগমণকে স্বাগতম জানিয়ে এ বইটি কবিতা পাঠ করা যেতে পারে― ‘এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম,/এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।’/বঙ্গবন্ধুর মুখে সেই মহান বাণী সমগ্র বিশে^ আজ হচ্ছে প্রতিধ্বনি/বাংলাদেশ পেল আজ যেই মানচিত্র/এই ভাষণই ছিল তার অন্যতম প্রধান সূত্র/এই মুক্ত আকাশ, বাতাস, স্বাধীন ঠিকানা/বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণই ছিল তার আল্পনা। (৭ই মার্চ, পৃষ্ঠা ১৮) কবির চেতনায় স্বদেশ ভাবনা ও ইতিহাস জ্ঞান খুবই সমুজ্জ্বল। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতিসত্বার সাথে মিশে আছেন কবিতার ছন্দের মতো। অবাধ আবেগ আর আপনজন বিশেষ করে মা, বাবা, বোন, বন্ধু এবং তার ভালোবাসার মানুষদের প্রতি একটা ব্যাকুল প্রাণের প্রতিধ্বণি পাওয়া যায় কবি শাহাদাত কাব্যের কবিতায় । সব কথাই যে কবিতা নয় এ কথা কবিকে স্মরণ রাখা জরুরি। দৈনন্দিন ভাষাকে কবিতা করে তোলা সব সময় সম্ভব হয় না। তাই আবেগ ও ভাষাকে লাগাম টেনে এগিয়ে যাওয়া একজন কবির দক্ষতা বলা যায়।
মূল নাম শাহাদাত হোসেন। তিনি গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার বাউনি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মোস্তাফিজুর রহমান, মাতা ফিরোজা বেগম। তিনি The institute of chartered Accountants of Bangladesh (ICAB) এর অধিভূক্ত A.K.DEB & CO. চার্টার্ড একাউন্টেন্টস থেকে চার্টার্ড একাউন্টেন্সি কোর্স সম্পন্ন করেন। এর আগে এসএসসি (২০০৪), শ্রীপুর পাইলট হাই স্কুল (এ গ্রেড), এইচএসসি (২০০৬) শ্রীপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ (এ গ্রেড), অনার্স (ব্যবস্থাপনা), ঢাকা কলেজ (প্রথম শ্রেণি) ও মাস্টার্স (ব্যবস্থাপনা), ঢাকা কলেজ (প্রথম শ্রেণি) লেখাপড়া করেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর IML থেকে জাপানিজ ভাষার উপর দীর্ঘমেয়াদী কোর্স সম্পন্ন করেন। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯-এ প্রকাশ হয়েছিল তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘চৈতালি চলে এসো’। এ কাব্যে ভালোবাসার প্রতি কবির অপার মুগ্ধতা ও আকুলতা প্রকাশ পেয়েছিল। ‘চৈতালি চলে এসো’র সাফল্য তাকে নতুন কবিতা লিখতে উদ্বুদ্ধ করে। সেই ধারাবাহিকতায় তিনি ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২০’ সালে প্রকাশ করেন দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘মধুময় চৈতালী সকাল’। তাঁর লেখা দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘মধুময় চৈতালি সকাল’-এর জন্য ‘মওলানা ভাসানী মানব হিতৈষী সম্মাননা’-২০২০ অর্জন করেন। ধারাবাহিক সম্মান ও সফলতায় প্রাণীত হয়ে তিনি এবার লিখেছেন ‘অবশেষে তুমি এলে’ কাব্যগ্রন্থ। বর্তমানে তিনি পুলিশ সার্জেন্ট (বাংলাদেশ পুলিশ) হিসেবে কর্মরত।