"একটা কিছু করো প্লিজ..." বইটির শেষের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ ক্ষুদ্র এই জীবনের অভিজ্ঞতা বলছে- দুনিয়ার অধিকাংশ মানুষ স্বার্থপর, বাকিরা স্বার্থ সচেতন। ফলে স্বার্থের সংঘাত অনিবার্য। আর সেই প্রেক্ষাপটে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে- মালিকানার দ্বন্দ্ব। প্রাচীনকালে অন্যান্য সম্পদের পাশাপাশি মানবদেহের ওপর সরাসরি মালিকানা লাভের সুযােগ ছিল। বহুবিধ উন্নয়নে আজ সে প্রয়ােজন ফুরিয়েছে। ফলে এখনকার লড়াই মানুষের মস্তিষ্কের ওপর অধিকার লাভের! এ-লড়াইয়ে বিজয়ীদের স্বার্থরক্ষায় তাদের অনুগতরা নিজেদের অর্থ-শ্রম-সময়-মনােযােগ এমনকি জীবনটাও উৎসর্গ করে। আর তাইতাে সভ্যতার মােড়কে, প্রযুক্তিতে ভর করে, স্ব-ক্ষমতা অর্জনের ধোয়া তুলে সর্বত্র চলছে ‘মস্তিষ্কের মালিকানা’ দখলের চেষ্টা। আপনার - আমার উর্বর মস্তিষ্ক হলাে তাদের চাষাবাদের উত্তম জমিন! সেক্ষেত্রে ব্যবসা - বাণিজ্য হলাে শক্তিশালী হাতিয়ার। আর মার্কেটিং হলাে তার যথার্থ বাহন। আমরা চিন্তা ও কর্মে নিজেদের স্বাধীন মনে করলেও অসংখ্য ব্র্যান্ড (ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান) সুকৌশলে প্রতিনিয়ত তাদের স্বার্থরক্ষায় আমাদের খাটিয়ে নেয়। তাদের প্রত্যাশা মােতাবেক নিজেকে উজাড় করে দিয়ে আবার আমরা সুখীও থাকি- এ এক আজব ধাঁধা বটে! জমি বা অন্যান্য সম্পদ হাতছাড়া হলে তা উদ্ধারে যেমন মরিয়া হই, মস্তিষ্কের মালিকানা পুনরুদ্ধারে কী তেমনটাই হওয়া উচিত? নাকি এই বেশ ভালাে চলছে...সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলােতে অসংখ্য চিন্তার খােরাক রয়েছে বইটির পাতায় পাতায়।
পড়তে ভালোবাসেন। দেশ-বিদেশের বইতো বটেই...পরিত্যক্ত ঠোঙ্গা, পুরনো সংবাদপত্র, ব্যবহৃত পণ্যের প্যাকেট, এমনকি পরীক্ষার খাতা সবই পড়েন নিবিষ্ট মনে। তবে কখনো সেগুলো মনে রাখতে চেষ্টা করেন না। ফলে পড়াটা হয়ে উঠে দারুণ উপভোগ্য। মেলে বহুবিধ চিন্তার খোরাক। ছাত্রজীবনে বক্তৃতা ও রচনা প্রতিযোগিতায় ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রতিফলন দেখা যায় বিভিন্ন লেখায় ও পাবলিক লেকচারে। বাই চয়েস শিক্ষকতা পেশায় আসা এই মানুষটি ভালোবাসেন নতুন নতুন বিষয়ে জানতে ও অন্যদের সাথে শেয়ার করতে। তাঁর যে কোন লেখা পড়তে থাকলে মনে হয় যেন ক্লাসে বসে লেকচার শুনছি। অর্থাৎ স্বকীয় বাচনভঙ্গীকে তিনি অতি দক্ষতায় লেখনীর মাধ্যমে সাবলীলভাবে প্রকাশ করেন-- যা সচরাচর দেখা যায় না।