বইটির সংক্ষিপ্ত সারাংশঃ ধর্ম বা সম্প্রদায়গত পরিচয় বিবেচনায় কোনো নোবেলজয়ীই বিশ্বে আলোচিত নন। মুসলিম নোবেলজয়ীরাও নিজ ধর্ম পরিচয়কে নিয়ে কোনো গর্ব বা উচ্চবাচ্য করেছেন বলে প্রমাণ মেলে না। বরং কঠিন সমালোচনা ও বিতর্ক হয়েছে অনেককে নিয়ে। দুজনকে হত্যা করা হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। দিন শেষে তাঁদের কাজ ও অবদানই এই পৃথিবীর মানবসভ্যতাকে বিকশিত করেছে। বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের একটি অনুন্নত দেশ। মুসলিমরা সংখ্যায় বেশি হলেও বহির্বিশ্বের সাঙ্গে তাল মিলিয়ে এ দেশের নাগরিকেরা শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, সাহিত্য, গবেষণা ও আবিষ্কারে এগিয়ে যেতে পারছেন না। কেন পারছেন না, তার উত্তর আমাদেরই খোঁজ করতে হবে। যদিও স্বাধীন বাংলাদেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ অনন্য সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সেটা শান্তিতে, জ্ঞান-বিজ্ঞান, চিকিৎসা বা আবিষ্কারে নয়! ১৯০১ সাল থেকে প্রচলিত সর্বোচ্চ এ পুরস্কারের সুদীর্ঘ ইতিহাসে মোট ১৩ জন মুসলিম ব্যক্তিত্ব নোবেলের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। দেশ, জনসংখ্যা ও ভূমির আয়তনে এটি খুব নগণ্য বলাটা ভুল হবে না। এ বইতে ১৩ জন মুসলিম নোবেলজয়ীকে পৃথক করে তুলে ধরা হয়েছে মূলত তাঁদের ত্যাগ, সংগ্রাম ও কর্মময় জীবনকে তুলে ধরার জন্য। যাতে করে আমাদের দেশের নাগরিকেরা ভবিষ্যৎ অনুপ্রেরণায় তাঁদের আদর্শকে সামনে রাখতে পারেন। মুসলিম নোবেলজয়ীদের তালিকা: ১) আনোয়ার সাদাত ২) আবদুস সালাম ৩) ওরহান পামুক ৪) নাগিব মাহফুজ ৫) ইয়াসির আরাফাত ৬) আহমেদ হাসান জিওয়াইল ৭) শিরিন এবাদি ৮) ড. মোহাম্মদ এল বারাদি ৯) ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১০) তাওয়াক্কুল আবদেল সালাম কারমান ১১) মালালা ইউসুফজাই ১২) আজিজ সানজার ১৩) নাদিয়া মুরাদ
মাহফুজার রহমান। জন্ম: ডিসেম্বর, ১৯৭৯। রংপুরের পীরগাছা উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা তাম্বুলপুরের ঘগোয়া গ্রামে। সেখানেই কেটেছে শৈশব-কৈশোর। শিক্ষা: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন। প্রাথমিক শিক্ষা : দুড়াগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তাম্বুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মাধ্যমিক শিক্ষাপর্ব : ঘগোয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও পীরগাছা জে এন উচ্চ বিদ্যালয়। উচ্চ মাধ্যমিক: পীরগাছা কলেজ। পেশা : সাংবাদিকতা। দৈনিক সংবাদ-এ সহসম্পাদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু। এক যুগ ধরে আছেন প্রথম আলোর সঙ্গে।