প্রকাণ্ড ঝড়ের রাতে জ্যোতি নামের যে মেয়েটি তার নামে দ্যূতি ছড়িয়ে নাহারের শশুড় বাড়িতে পা রেখেছিল। সেদিন হয়তো সে বাড়ির আলো কিছুটা কমে গিয়ে নাহারের শরীর জুড়ে কিছুটা কলঙ্কের কালির ছিটে ফেঁাটা দাগ সখ্যতা তৈরি করতে চেয়েছিল। ধর্ষিত হতে যাওয়া নারীর পাশে কেনইবা নাহার ভয়ংকর দুর্গা হয়ে সেই রাতে জ্যোতিকে আশ্রয় দিতে গিয়ে জীবনের ঘটে যাওয়া রহস্যের সাথে পরিচয় পাবে। নাহার সবটার উত্তর পেয়েছিল। পেয়েছিল পলাশ খুনের দায়ে কথার জীবনের অতীত অধ্যায়। জীবনের সব উত্তর পাওয়া যুক্তিযুক্ত নয় নাহার তা জানে। তেমনি জীবনে কিছু অনর্থক প্রশ্ন তুলে জীবনে জটিলতা টেনে আনা ও সঠিক নয়। সফলতাময় এই জীবনে মানুষ কতটুকু সার্থক বা বাইরে থেকে দেখা জীবন কতটুকু সফল বা সম্পদময় তা জানার প্রসারতা কম। কম বলেই, এসিপি শিমুল পলাশের খুনী কথার জীবনে নতুন আলোর বার্তা নিয়ে কোন রহস্য উন্মোচনে আসে তা কেউ সঠিক জানেনা। কথার জীবনকে দুল্যমান প্রশ্নের কাছে উত্তরহীন করে, নিঃসঙ্গ অন্ধকারে কোণঠাসা করে, বিদ্রুপমুখর শয়তান সমাজে সন্দেহ আর হাসির পাত্র করে, অভিশপ্ত জীবনে উত্থান—পতনের গল্পের মূল নায়িকা করে পলাশ চলে গিয়েছিল। সে গল্পে শিহাব আরিফ এর মতো গভীর প্রেমে মাতোয়ারা অসীম প্রেম, গোপন ব্যথার আত্মচিৎকার ভুলিয়ে ভালোবাসার ঘর বানাতে জানে। সেই ভালোবাসার ঘরে নাহারের মতো প্রতিবাদী মেয়েরা চির নিদ্রায় ভালোবাসার শায়িত থাকে। প্রেম ভালোবাসা আত্মঅহংকার মর্যদায়, গোপনে হৃদয়ের সর্বনাশে.....