বনবিহারী ফ্ল্যাপ থেকে.. বন-বনানী-বন্যপ্রাণী, নদ-নদী ও সমুদ্রসৈকত যাদের পছন্দ উপন্যাসটি তাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে। সামান্য পড়লেই উপন্যাস সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। প্রকৃতির রহস্য তাে এখানেই; জীবনচক্র নিয়ে খেলা করা। যে খেলায় উন্মাদনা নেই, নেই আনন্দ , নেই জেতার প্রতিযােগিতাও, আছে ভারসাম্য বজায় রাখার সুকৌশল, প্রজন্ম নিশ্চিত করা বা প্রজন্মকে সুযােগ দেওয়ার ব্যাপারটাও নিহিত আছে। অকাতরে বিলিয়ে দিয়ে স্বস্তি অর্জন করাই প্রকৃতির সার্থকতা। এটাই প্রকৃতির খেলার মূলরহস্য । যে রহস্যভেদ করতে হলে প্রয়ােজন অন্তদৃষ্টির । অন্তদৃষ্টিতে ঘাপলা থাকলে প্রকৃতি ধরা দেয় খটখটে মরুভূমি, কঠিন শৈলশীলা , জীবন্ত আগ্নেয়গিরি কিংবা মহাসাগরীয় সুনামি রূপে। ফুলের গন্ধ , পাখির কলতান, কচুপাতার জল, রােদেপােড়া লতাগুল্ম, দীপজলা সন্ধ্যা, অন্তদৃষ্টি সজাগ না থাকলে উপলব্ধি করা বড়ই কঠিন... ধীরে ধীরে চন্দ্র তেজোময় জ্যোতি ছড়িয়ে উপরে উঠতে লাগল; সােনালি আভা ফুরিয়ে গেছে। নিমেষেই , রুপালি জ্যোতি ছড়িয়ে পড়েছে কয়েক মিনিটের মধ্যেই। বনভূমি মুহূর্তেই ফর্সা হয়ে গেল, চন্দ্ৰপ্লাবনে ভাসছে এখন দ্বীপ বন... 'বিশাল গাছ-গাছালির ছায়াতলে মায়ারানিকে কেমন জানি অদ্ভুত লাগছে আজ। তেমনি মুহূর্তে বাতাসে ভেসে এল রাতচরা পাখির করুণ আর্তনাদ। সেই আর্তনাদ আমাকে জানান দিলাে দ্বীপ বন ত্যাগের বিষাদবার্তা।' ***
আলম শাইন। বাবা: মাে: মনির আহমেদ। মা: হােসনেআরা বেগম। জন্ম: ৫ মাঘ ১৩৭৭ বাংলা। জন্মস্থান: পূর্বচরপাতা, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর। একাধারে তিনি কথাসাহিত্যিক, কলাম লেখক, প্রবন্ধকার, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ। হাজাম’ সম্প্রদায় নিয়ে তার লেখা উপন্যাস বােদ্ধা পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। উপন্যাসটি দৈনিক জনকণ্ঠ ও কলকাতার উদ্দালক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এবং ড.মঞ্জুশ্রী সাহিত্য পুরস্কার ২০০৮'-এ ভূষিত হয়েছে। পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়াসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রবর্তিত বােস্টন বাংলা নিউজ অ্যাওয়ার্ড২০১৫ ভূষিত হয়েছেন। এ ছাড়াও কথাসাহিত্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে বিশেষ অবদানের জন্য ‘বিজয় দিবস সম্মাননা২০১৭' প্রদান করছে ক্যানভাস অব বাংলাদেশ। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা ১৩টি। দেশের প্রথম শ্রেণির দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচারের সংখ্যাও কম নয়; হাজার ছাড়িয়ে গেছে । তন্মধ্যে পাখ-পাখালি নিয়ে প্রকাশিত ফিচারের সংখ্যা পাঁচশতাধিক। ঘুণে খাওয়া বাঁশি’ উপন্যাসটি দৈনিক মানবকণ্ঠ এনটিভি অনলাইন ও বােস্টন বাংলা নিউজ এ ধারাবাহিক প্রকাশিত হয়েছে।