কাহিনী সংক্ষেপ উপন্যাসের নায়িকা তাজিন আহমেদ। উচ্চশিক্ষিত, বুদ্ধিদীপ্ত, আত্মপ্রত্যয়ে ভরপুর এক নারী। কিন্তু সে নিজেকে একজন নারী নয় মানুষ হিসেবে মনে করে। গতানুগতিক একজন নারীর ধ্যান-ধারনা এবং ঘর-সংসারের স্বপ্ন সে লালন করে না।সে অন্যরকম করে ভাবে। সে চায় একজন পুরুষ যেমন স্বাধীনভাবে, স্বয়ংসম্পূর্ণ মানুষ হিসেবে বাঁচে তেমন করেই বাঁচতে।আর নিজেকে তাই সেভাবেই সে গড়েও তুলেছে। উচ্চশিক্ষা শেষ করার পর তাজিন আর সবার মতো জীবন বেছে না নিয়ে নতুনত্ব কিছু করার কথা ভাবে। তাই মফঃস্বল শহরের এক অখ্যাত অঞ্চলে একটি কৃষি খামার ও গবেষনা কেন্দ্র গড়ে তোলে। কাহিনীর শুরু এখান থেকেই। তাজিনের বড় ভাইয়ের বন্ধু অমিত চৌধুরী। ধনী, বিত্তবান শীল্পপতির একমাত্র সন্তান। সে একজন কৃষিবিদ। মনে মনে তাজিনকে ভালোবাসতো অমিত। কিন্তু তাজিনের প্রেম-ভালোবাসা বিষয়ে বিরুপ মনোভাবের জন্য কোনোদিন তাজিনের কাছে প্রকাশ করে না। একসময় অমিত জানতে পারে তাজিনের কৃষি খামারের কথা। তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে এই খামারেই সে তাজিনের পাশাপাশি থেকে কাজ করবে। শুরু হয় গল্পের ক্লাইমেক্স। অমিত পদে পদে তাজিনের নারীত্বের অহংকারের ভীতকে নাড়িয়ে দিতে থাকে। কিন্তু তাজিনের দম্ভ, আত্মঅহংকার, এতদিনের জমানো সংষ্কার কি অমিত ভাঙ্গতে পেরেছিল? তাজিন কি সব দ্বিধা-দ্বন্দ সরিয়ে নিজেকে অমিতের প্রেমের কাছে সমর্পন করেছিল? নাকি বিফল মনোরথে ফিরে গিয়েছিল অমিত নিজের গন্ডীতে? পুরো উপন্যাস জুড়ে আছে একজন নারীর একটু একটু করে নিজেকে ভাঙ্গা-গড়ার ঘটনাবিন্যাসের উপাখ্যান।