কাচের মতো স্বচ্ছ দেহ নিয়ে পড়ে থাকা অর্ক আর ধড় থেকে যখন খুশি মাথা খুলে রাখতে পারার ক্ষমতাপন্ন মানুষ অনাদীর প্রথম দেখা হয় একটা থানায়। দু’জনেই দুটি পৃথক খুন করে এসে থানার এ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার জনাব মঞ্জুরে ইলাহিকে অনুরোধ করেন লাশ খুঁজে দিতে অথবা তাদেরকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করতে। ইলাইহি সম্মত হন না তাদের সেই দাবিতে। তিনি জানান- থানাটাই কেবল আছে, কিন্তু দেশের কোথাও কোনো অপরাধ বা অপরাধী নেই! তারা দু’জনেই ক্ষিপ্ত হয়ে ইলাইহির টুটি চেপে ধরে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ইলাইহি হাসতে হাসতে তাদেরকে দেখিয়ে দেয় যে তার কন্ঠনালির ঠিক কোন জায়গাটাতে ৩০ সে চেপে ধরে রাখলে মৃত্যু নিশ্চিত করাটা সহজ হবে! হতাশ হয়ে একটা কালো জলের জলপাই নদীর কিনারে অর্ককে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে অনাদী। এক বেদেনীর সাথে দেখা হয় অর্কর। সকল প্রকার নেশা একঘেয়ে হয়ে আসার পর জিহ্বায় সাপের বিষের ছোবল নেওয়ার নেশায় আগ্রহ জন্মে অর্কর। বেদেনী এক রহস্যময় হাসি হেসে একটা বিষধর সাপের ছোবল দেয় অর্কর জিহ্বায়। নেশার প্রতিক্রিয়া হিসাবে একটা টানেলের ভেতরে তীব্রভাবে ছুটতে ছুটতে নরকে প্রবেশ করে অর্ক এবং নরকে অবস্থানের এই সময়টাতে সে একটু একটু করে যেইসমস্ত অপ্রত্যাশিত ঘটনাবলির ভেতর দিয়ে যায় তা যেন সহস্র বঞ্চিত মানুষের মনের কথা!