সামারিঃ ১ম গল্প : সাফুর বাবা আর মামণি জন্মদিনে তাকে চকলেট ভর্তি একটা পাতলা কাঠের ছোট্ট সিন্দুক উপহার দেয় পরে সেই সিন্দুককে ঘিরে এক রহস্যের জন্ম নেয় । যে রহস্যের জন্ম দেয় সাফু আর তার বন্ধুরা মিলে। তাদের বাবা-মা সিন্দুকের রহস্য জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠে। এই রহস্যকে কেন্দ্র করে গল্পের কাহিনি এগিয়ে যায়। ২য় গল্প: আরীবা আর আফ্রা মতো বোন বাসার পাশের টিনের চালে থাকা বিড়ালজানাদের সাথে আরীবার বন্ধুত্ব হয় । অফার বন্ধুত্ব হয় বারান্দায় আনা হলুদ প্রজাপতির সাথে। এক ঝড়ের রাতে বিড়ালছানারী নিখোঁজ হয়ে যায় । আরীবা তাদের জন্য কাঁদতে শুরু করে। ঐদিকে হলুদ প্রজাপতির বাসা ঝড়ে ভেঙে গেছে ভেবে গাফ্রাও কাঁদতে লাগল । দাদিমা তাদেরকে নিয়ে মুশকিলে পড়ে গেলেন । বর্তমান যুগের বেশির ভাগ বাচ্চারাই গেজেট নিয়ে পড়ে থাকে গেম খেলা তাদের কঠিন নেশায় পরিণত হয়েছে যা তাদের নৈতিক শিক্ষার অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর জন্য বাবা-মা এবং বড়রা অনেকাংশেই দায়ী। তারা সময় দিতে চান না বলে শিশু-কিশোররা মোবাইলে, কম্পিউটারে গেম খেলায় আসক্ত হয়ে পড়ে।
এই বইয়ের প্রথম গল্পের কেন্দ্রিয় চরিত্র সাফু। সেও গেম খেলায় আসক্ত ছিল। তারপর মামণি বিভিন্ন পন্থায় তাকে আসক্তি মুক্ত করে মানবিকতা শিক্ষা দেন। পরবর্তিতে সাফু পথশিশু এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের নিয়ে ভাবতে শিখে । দ্বিতীয় গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র আরীবা আর আফ্রার মধ্য দিয়ে দেখানো হয়েছে গ্রেজেট নির্ভর না হয়েও কীভাবে ছোটো বাচ্চারা তাদের অবসর সময়গুলো সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারে। সেই সাথে এই গল্পে আরোও তুলে ধরা হয়েছে আমাদের চারপাশে বসবাস করা নিরীহ প্রাণীদের প্রতি সবার সদয় হওয়া উচিত ।