রাজনৈতিক মুক্তির পর আমরা যদি অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি অর্জন করতে চাই, তা হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আঁকড়ে ধরার বিকল্প নেই। স্বীকার করতেই হবে, এদেশে অনেক অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। এও অস্বীকার করা যাবে না যে, একই সঙ্গে বেড়েছে বৈষম্যও। আর সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প তো রয়েছেই। এই সময়ে তাই বঙ্গবন্ধু আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। আরও বেশি জরুরি। অর্থনৈতিক মুক্তি সুষম করতে হলে, সাধারণ মানুষকে বৈষম্যের জাল থেকে মুক্তি দিতে হলে আমাদের অগ্রসর হতে হবে বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত শোষণমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথেই। মুজিব জন্মশতবর্ষ আমাদের সামনে সেই তাগিদ নিয়েই হাজির হয়েছে। সন্দেহ নেই, গত কয়েক বছরে বঙ্গবন্ধুর নিজের লেখা ডায়েরি থেকে প্রকাশিত তিনটি গ্রন্থ তাঁকে চেনার কাজটি সহজ করেছে। কিন্তু তার আগের পাঁচ দশকেও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। সামরিক, আধা-সামরিক শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তাঁকে নিয়ে প্রকাশ হয়েছে প্রবন্ধ, নিবন্ধ, স্মৃতিকথা। গান, কবিতা, গল্প, চিত্রকর্মেও বঙ্গবন্ধু আমাদের সামনে নতুন নতুন মাত্রা নিয়ে হাজির হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে অন্যের চোখে দেখার এই প্রয়াসগুলোও আমাদের রাষ্ট্র, সমাজ ও ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই বইয়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রকাশিত বিশিষ্টজনের নিবন্ধ ও প্রবন্ধের মাধ্যমে আরেকবার বুঝতে চেষ্টা করা হয়েছে ‘মুজিব কেন জরুরি’।
লেখালেখি শুরু নব্বইয়ের দশকে কবিতা দিয়ে। সক্রিয় রয়েছেন সাহিত্যের নানা মাধ্যমে। সাংবাদিক হিসেবে এক নামে পরিচিত। দৈনিক সমকালের নির্বাহী সম্পাদক। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা চৌদ্দ। তার সাংবাদিকতা বিষয়ক বই পড়ানো হয় বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ে। ১৯৭১ সালের ২০ জানুয়ারি সিলেটের বিয়ানীবাজারে জন্ম। লেখালেখির শুরুও সেখান থেকেই। পৈতৃক বাড়ি লাউতা ইউনিয়নের আষ্টসাঙ্গন গ্রামে। ওই অঞ্চলের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মরহুম সফিক উদ্দিন আহমদ তার বাবা। মা মরহুমা জয়গুন নেসা। ছয় ভাইবোনের মধ্যে পঞ্চম। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। স্ত্রী নূরজাহান আক্তার। দুই সন্তান- রূপকথা ও ঋদ্ধ । প্রকৃতির সঙ্গে থাকা, বাগান করা ও চিত্রকর্ম সংগ্রহ তার অন্যতম শখ। ভালবাসেন আড্ডা দিতে। সময় পেলে মাঝে মাঝে ছবিও আঁকেন।