বইটির প্রথম ফ্লাপ এর লেখা: একান্নবর্তী বাড়ির এক ফ্ল্যাটে চারজনের এক আপাত সুখী পরিবার। নির্ঝঞ্ঝাট! হঠাত পরিবারের চালিকাশক্তি, পরিবার প্রধান হারিয়ে গেলেন। নেই ...নেই, একেবারেই নিঃশূন্য! এবং এমন এক পরিবার যেখানে পরবর্তী উপার্জনক্ষম কেউ তৈরি হতে ম্যলা বাকী । পুত্র সন্তান প্রাইমারীর গণ্ডি কেবল পাড় হচ্ছেন। কি উপায়? সাড়ে ৭ বিলিয়ন মানুষের এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড। প্রকৃতির বংশগতির ধারা রক্ষার চেষ্টায় নিরন্তর নতুন প্রাণ আসে, নর নারীর মাধ্যমে। এর অন্যথা তাই ধর্মে কর্মে নিষিদ্ধ। কিন্তু নর নারী সবাই কি বাবা মা হন? প্রথাগত জনক জননী? ফর্মুলায় মাপা? মানুষ যখন সবাই ভিন্ন, বাবা মাও তাে ভিন্নতায় গড়া। প্রকৃতি তার নিজের স্বার্থে প্রাণীর মনজগতে গেঁথে দেয় বাঁচার প্রতি, জীবনের প্রতি ভালােবাসা। কিন্তু সে জানে অমরত্ব তাঁর নাই। তাই সে সন্তান জন্ম দেয় নিজের প্রতিরূপ এই পৃথিবীতে রেখে যাবার জন্য। কিন্তু সব বাবা মায়ের চিন্তার জগত নিজেকে ছাপিয়ে কেবল সন্তান কেন্দ্রিক? আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থপর হতে পারে না? মানবিক না হয়ে অমানবিক হয় না? সব ফল কি একই আবহাওয়া জলবায়ু পায়? সব শিশুই কি ঘরে ফিরতে চায়? ঘর থেকে। পালাতেও কি অনেকের প্রাণপাখি অস্তিত্ব জর্জর আত্মা উথাল আকুল হয় না? এক বালকের নিজস্ব জবানীতে এলােমেলাে। হয়ে যাওয়া অন্যরকম কৈশাের উত্তীর্ণ কাল। এ গল্প প্রতিটি পরিবারকে নিজেদের গল্পের সাথে যােগসূত্র স্থাপন করবেই।