“দ্য ফিমেল ব্রেন" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ নারীর মন বুঝতে না পারার অক্ষমতা ঢাকতে গিয়ে মােক্ষম বাহানা দাঁড় করিয়েছি আমরা। বাহানাটা কি? নারীর মন স্বয়ং ঈশ্বরও বােঝেন না। নারীর মন বুঝতে চাওয়া পুরুষ-নারী এবং অবশ্যই ঈশ্বরকে দেওয়া সুপরামর্শ হচ্ছে, দয়া করে নারীর মস্তিষ্ককে বুঝতে চেষ্টা করুন। নানাবিধ হরমােনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় নারীর মস্তিষ্ক রােদ-বৃষ্টি, আলাে-ছায়ার খেলায় মাতিয়ে রাখে নারীর জীবনকে। তাই যে নারী লাস্যময়ী প্রেমিকা, তিনিই আবার সন্তান একদিকে আর পৃথিবী আরেক দিকে রেখে দেওয়া মা। কখনাে কখনাে মা হয়ে ওঠা নারী নিজের সন্তানের হন্তারক হয়ে ওঠার মতাে ভয়ংকর ঘটনা ঘটিয়ে ফেললে এই আমরাই বলি, মা মানুষও বটে। শৈশব থেকে শুরু করে আমৃত্যু নারী কেবলি পরিবর্তনশীল। সামাজিক আচার নারীকে বাধ্য করে নিজেকে তথা নারীর মস্তিষ্কে ঘটে যাওয়া ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াকে আড়াল করে রাখতে। কিন্তু দিন বদলের সাথে সাথে জাগরণ ঘটছে নারীরও। সামনে এগিয়ে যাওয়া নারীকে আটকে রাখার দিন শেষ। বরঞ্চ নারীর সাথে তাল মেলানাে শিখতে হবে সবাইকে। ঠিক এই কারণেই আমেরিকান নিউরােসায়েন্টিস্ট ড. লুয়ান ব্রিজেনডাইনের বই ‘দ্য ফিমেল ব্রেন’ সবার পড়া উচিত। নিজের পেশাগত জ্ঞান আর দীর্ঘ সময়ে বিভিন্ন বয়সের অসংখ্য নারীর চিকিৎসা করতে গিয়ে নারীর মস্তিষ্ক সম্বন্ধে যে অভিজ্ঞতা তিনি সঞ্চয় করেছেন, যেসব গবেষণালব্ধ তথ্য তিনি সংগ্রহ করেছেন, তার ফলাফল এই বইটি। ২০০৬ সালে ওয়র্ক টাইমস বেস্ট সেলার হিসেবে জায়গা করে নেওয়া এই বই বিশ্বের ত্রিশটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বাংলা ভাষার পাঠকদের জন্য করা এই প্রথম অনুবাদ আশা করি সুখপাঠ্য হবে। বাঙালি সমাজ নারীর মস্তিষ্ককে বিজ্ঞানের সাহায্যে চিনতে ও বুঝতে শিখুক, তবেই মঙ্গল সবার।