মানুষ মরণশীল। তা সত্ত্বেও, আমরা বেঁচে থাকার বা চিরজীবী হওয়ার একটা সাধ মানুষের মনোজগতে খেলা করে। রবীন্দ্রনাথের মতো খুব কম মানুষ আছে যাঁরা মৃত্যুকে শ্যামসম মনে করে আলিঙ্গন করতে আগ্রহী। চিরজীবী যদি না-ও হয়, তো দীর্ঘায়ু হওয়ার সাধ নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সেই শিশুকাল থেকে শরীরচর্চা, সাঁতার, ভালো খাবার, ভালো ঘুমের কথা শুনে আসছিÑ এগুলো সবই দীর্ঘায়ুর পথে আমাদের সঙ্গী। এর বিপরীতে দীর্ঘায়ুর পথে পদে পদে কত বাধাÑ বাধা অসুখ বিসুখে, বাধা জীবনযাপনে এবং বোধকরি সবচেয়ে বড় বাধা জ্ঞানসাধনায়। বিশ্বের নানাদেশের বিজ্ঞানীরা মানুষের দীর্ঘজীবন নিয়ে নানা গবেষণা করছেন। কোষের অভ্যন্তর থেকে শুরু করে মাইক্রোবায়ম, সর্বত্র গবেষণা এবং মাঝে মধ্যে আমরা তার খবরাখবর পাই। তো এই যাত্রায় বাংলাদেশই বা পিছিয়ে থাকবে কেন? বছর খানেক ধরে বেশ কয়েকজনকে দেখা যাচ্ছে জীবনযাপন নিয়ে সোচ্চার হতে এবং কী কী পরিবর্তন আনলে অপেক্ষাকৃত সুস্থ থাকতে পারবো তা নিয়ে কথা বলতে। শরীরে যে রোগ বাসা বাঁধে তার প্রায় ৭৫ শতাংশই জীবনযাপনজনিত, কাজেই তাতে ভারসাম্য আনা গেলে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা সম্ভব হবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু পিছনের বৈজ্ঞানিক বাস্তবতা জানাটাও জরুরি। পাশ্চাত্যে রোজা তো বটেই, প্রিবায়োটিক বা প্রোবায়োটিকসহ নানা ধরনের খাবার নিয়ে বিস্তর লেখালেখি ও আলোচনা হচ্ছে। যেসব লেখায় ও আলোচনায় সর্বশেষ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের নানা উদ্যেগ ও ফলাফল দৃশ্যমান। সেখান থেকে বেছে বেছে কিছু পরামর্শ নিয়ে নিজের উপরে প্রয়োগ এবং আর তা দেখে আশপাশের মানুষদের বদলে যাওয়া গল্প নিয়ে এই লেখা। রোগমুক্ত দীর্ঘ জীবনের পথে আপনার যাত্রা শুভ হোক।