আমরা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের চারপাশের ইতিহাস থেকে যেভাবে জেনেছি- সংঘাতমূলক এরকম ঘটনাগুলো সর্বদাই সাংস্কৃতিক, সমাজ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার যোগফল যা কয়েক ডজন দেশকে এই ধরণের আন্তর্জাতিক যুদ্ধের দিকে পরিচালিত করেছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে দেখা যায় দুর্নীতিগ্রস্ত সামন্ত রাজা রাশিয়ার জনগণের জাতীয় সম্পত্তি লুট করছিলেন। এরপর তিনি অস্ট্রো হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। এর কিছুকাল পরে সেখানে একদল বিদ্রোহীর হাতে রাজার ছেলে নিহত হন। এই ঘটনা একটি অভ্যুথান মাত্র হয়ে থাকেনি, এর ফলাফল হয়েছিল সুদূর প্রসারী এবং এটাই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশরা তাদের মিত্রশক্তির সঙ্গে মিলে বিপক্ষের দেশগুলোকে চরম দুর্দশার দিকে ঠেলে দেয়। এসমস্ত দেশের একটি হলো জার্মানি। ব্রিটিশ ও তার মিত্রদের দ্বারা সৃষ্ট সামাজিক অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করায় পরবর্তিতে জার্মানিতে এডলফ হিটলারের উত্থান ঘটে, যার নেতৃত্বে প্রস্তুতি চলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে বর্ণনা করা যায় সকল উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা খুঁজে নেওয়ার এক সামাজিক আন্দোলন হিসাবে, যার কারণে বিশ্বের সামাজিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় আরো বেশি ভারসাম্য তৈরি হতে পারে।
রেজা সাত্তার রেজা সাত্তারের জন্ম বাংলাদেশের ফরিদপুরে। কিন্তু তার জীবনের সিংহভাগ সময় কেটেছে বিদেশে। তিনি ঢাকাতে তার হাই স্কুল ও কলেজের শিক্ষা সম্পন্ন করেন। একেবারে তরুণ বয়স থেকেই তিনি নারীর ক্ষমতায়ণ, বিভিন্ন জাতিসত্ত্বা ও সংস্কৃতির মধ্যে সমতা আনয়ন, দুর্নীতি দমন এবং দরিদ্রদের প্রাপ্য অধিকার আদায় প্রভৃতি আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি ঢাকায় রুশ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আয়োজিত রুশ ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন প্রোগ্রামে যোগদান করেন এবং এসময় বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত হন। ইতিহাসের প্রতি অপরিসীম আগ্রহের কারণে তিনি রাশিয়ায় গমন করেন এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য রুশ সরকারের বৃত্তি লাভ করেন। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ তিনি তার এম এস সি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন ১৯৯০ সালে। বর্তমানে কানাডাতে তিনি একজন প্রখ্যাত প্রকৌশলী এবং প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। টরন্টোতে অবস্থিত অন্টারিও সিভিল ইঞ্জিরিয়ারিং কোম্পানি’র তিনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। পেশাগত পরিচয়ের বাইরে রেজা সাত্তার একজন নিষ্ঠাবান লেখক এবং কবি। ইংরেজিতে লেখা তার একাধিক প্রকাশিত গ্রন্থ কানাডা এবং অন্যান্য দেশে ব্যাপক আলোচিত ও সমাদৃত হয়েছে। তিনি নিজেকে একজন নারীবাদী লেখক হিসাবে গণ্য করেন এবং কানাডীয় লেখক এসোসিয়েশন এর অন্যতম সদস্য তিনি। তিনি একজন বিশ্ব পর্যটকও। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, বেলজিয়াম, হল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সৌদি আরব, জর্ডান, রাশিয়া এবং আর্জেন্টিনা প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেছেন। তার অধিকাংশ ভ্রমণের পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল পৃথিবীর ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে নিবিড়ভাবে জানা।