ফার্নেস পেনিটেনশিয়ারি! কম বয়সি অপরাধীদের জন্য নির্মিত বিশ্বের সবচেয়ে সুরক্ষিত এ কারাগারের অবস্থান মাটির অতল গহীনে। বিনা অপরাধে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন সাজা পেয়ে সেই কারাগারে ঠাঁই পেল অ্যালেক্স সয়্যার। তার সামনে এখন রয়েছে কেবল দুইটি উপায়- খুঁজে নিতে হবে পালাবার পথ, আর নয়তো করতে হবে অন্ধকার গরাদের আড়ালে মৃত্যুর বুকে অসহায় আত্মসমর্পণ। কিন্তু ভয়ঙ্কর এ নরকে মৃত্যুই যেন সবচেয়ে সহজ পরিণতি। দুনিয়াবাসীর অগোচরে সাজানো কারাগারটিতে দিনভর আতঙ্ক শেষে রাত হলেই ঘনিয়ে আসে রক্তাক্ত বিভীষিকা। এগিয়ে আসে গ্যাস মাস্ক পরা ভয়ঙ্কর সব প্রাণী। শিকারের খোঁজে জান্তব শব্দে ছুটে বেড়ায় করিডর ধরে। সুরঙ্গের ওপাশ থেকে ভেসে আসে অচেনা কোনো দানবের রক্তহিম করা চিৎকার। আর এই সব কিছুর কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে নিজের উপস্থিতি জানান দেয় রহস্যময় ও ভয়ঙ্কর শক্তিশালী ওয়ার্ডেন। সে যেন সাক্ষাৎ শয়তানের মানবমূর্তি! অমানবিক এ কারাগারে যেমন রয়েছে ঠাণ্ডা মাথার কিছু খুনি, তেমনি রয়েছে গুটিকয়েক নিরপরাধ শিশু। আর তাদেরকে নিয়েই পালানোর সিদ্ধান্ত নেয় অ্যালেক্স। কিন্তু আশার ক্ষীণ আলো দেখামাত্রই একটু একটু করে তার সামনে নিজের সত্যিকারের রূপ মেলে ধরতে শুরু করে ফার্নেস। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে রক্তক্ষরণ। বেঁচে থাকার প্রতিটি মুহূর্তই যেন হয়ে ওঠে এক জীবন্ত দুঃস্বপ্ন।