পঁচিশ বছর আগে ব্যানবেরি হলে গিয়ে ওঠে ম্যাগি হল্টের বাবা মা। ব্যানবেরি হল হচ্ছে ভারমন্ট উডসে অবস্থিত ভিক্টেরিয়ান ধাঁচের বাড়ি। কিন্তু ঐ বাড়িতে বসবাস করার অভিজ্ঞতা খুব একটা ভালো হয় না ওদের। তিনসপ্তাহের মাথায় ত্যাগ করতে হয় বাড়িটা। পরবর্তীতে ঐ বাড়ির ভূতুড়ে অভিজ্ঞতা ও ঘটনাবলীর ওপর ভিত্তি করে একটি বই লেখেন ম্যাগি হল্টের লেখক বাবা ইউয়ান। ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বইটা। বিশ বছর পর ব্যানবেরি হলের উত্তরাধিকার সূত্রে মালিকানা পায় ম্যাগি। বাড়িটা সংস্কার করে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় ও। আবারও ফিরে আসে ঐ বাড়িতে। ততদিনে ভুলে বসে আছে বাবার লেখা বিখ্যাত বইয়ের ভূতুড়ে ঘটনাগুলো। ওর বিশ্বাস ভৌতিক-অতিপ্রাকৃত সত্তার কোনো অস্তিত্ব নেই এই দুনিয়াতে। এসব কিছুই মানুষের মনগড়া। কিন্তু ঐ বাড়িতে ফিরেই ওকে মুখোমুখি হতে হল একের পর এক গা শিউরে ওঠা, ভয়াবহ সব পরিস্থিতির। এছাড়া ঐ এলাকার লোকজনও খুশি নয় ম্যাগির বাবার লেখা বইয়ের ওপরে।হঠাৎ করেই ম্যাগি টের পেল বাড়িতে যেসব অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটছে সবই ওর বাবার লেখা বইয়ের হুবুহু অনুরূপ। সত্যি কি অভিশপ্ত ‘ব্যানবেরি হল’ নাকি কোনো অস্বাভাবিক খেলা চলছে ম্যাগি হল্টের মনস্তত্ব জুড়ে? এসব প্রশ্নের উত্তর-ই লুকিয়ে রয়েছে জনপ্রিয় মার্কিন লেখক রাইলি স্যাগারের ডার্ক সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ‘হোম বিফোর ডার্ক’-এ। নিঃসন্দেহে, পরিণতিটা জানলে চমকে উঠবেন পাঠক।