ফ্ল্যাপে লিখা কথা আধুনিক প্রযুক্তি, কারিগরি উৎকর্ষতা এবং জীবন ও সমাজঘনিষ্ঠ মাধ্যম হিসেবে টেলিভিশন বর্তমান বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় গণমাধ্যম। বিশেষ করে সংবাদ সংগ্রহ, চিত্রায়ন, সম্পাদনা ও পরিবেশনায় টেলিভিশন লাভ করেছে নতুন মাত্রা। বাংলাদেশে নব্বিই দশকের শেষভাগে এসে নতুন নতুন প্রযুক্তি-নির্ভর টেরেস্ট্রিয়াল ও স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো নতুন ধারার অনুষ্ঠান ও সংবাদ নিয়ে দর্শকদের এই আগ্রহ পূরণে সমর্থ হয়। প্রতিটি চ্যানেলই তাদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিত্যনতুন চিন্তাধারার সমাবেশ ঘটিয়ে সুষম প্রতিযোগিতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রশিক্ষণ উপকরণ হিসেবে বিদেশী বই কিছু পাওয়া গেলেও মাতৃভাষায় এই বিষয়ে খুব বেশি একটা কাজ হয়নি। শুধু সাংবাদিকতায় অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রী নয়, এর বাইরেও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে যারা কাজ করতে আগ্রহী তাদের জন্যও সম্প্রচার সাংবাদিকতার প্রাথমিক বিষয়গুলো সহজ সরলভাবে মাতৃভাষায় তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। আশা করি তথ্যগত ও তত্ত্বগত আধুনিক প্রযুক্তি-নির্ভর সম্প্রচার সাংবাদিকতা বিষয়ক বাংলা বই-এর অভাব এই বইটি পূরণ করবে।
সূচিপত্র * সংবাদ ও সাংবাদিকতা * ভিডিও প্রযুক্তি ও তথ্য সম্প্রচার * ভিডিও প্রযোজনা * স্ক্রিপ্ট লিখন * ভিডিও ক্যামেরা * আলোকসম্পাত * শব্দ * সম্পাদনা * রূপসজ্জা * সহায়ক গ্রন্থ
জনপ্রিয় টেলিভিশন সংবাদ উপস্থাপিকা সমিয়া রহমান ১৯৭৩ সালের ২৩ জুন ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবার বাড়ী যশোরের পুরাতন কসবা কাজী পাড়ায়। বাবা মাহমুদুর রহমান ও মা দিলরুবা রহমান । চার বোনের মধ্যে সামিয়া রহমান তৃতীয়। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে। এখান থেকেই বি. এ. (অনার্স) এম. এ. ডিগ্রী অর্জন করেছেন। উভয় শ্রেণীতেই তিনি ছিলেন ফার্স্টক্লাস ফার্স্ট ও গোল্ড মেডালিস্ট। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান , এখানে তিনি সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। বর্তমানে তিনি চ্যানেল ৭১ এর কারেন্ট এপিয়ার্স এন্ড প্রোগ্রাম এডিটর হিসেবে কর্মরত। তার প্রকাশিত গ্রন্থ “একুশ শতকের টেলিভিশন সাংবাদিকতা, গণমাধ্যমের চাণক্য কৌশল, কুতর্ক বিতর্কে গণমাধ্যম,আধাখিঁচড়ে গল্প।