আমরা সাধারণত সহজলভ্য পন্থাগুলির মাধ্যমে কোনও কিছু শিখে থাকি, আর সেগুলির মধ্যে শিক্ষার সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য একটি মাধ্যম হল গল্পসমগ্র পাঠ। কয়েক শতাব্দী ধরে শিশুদের বলে আসা গল্পগুলি বেশ রোমাঞ্চকর এবং কল্পনাপ্রসূত; সেগুলি হল আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যগুলিকে যেভাবে আমরা আমাদের সন্তানদের মধ্যে প্রবাহিত করতে পারি তারই একটি মাধ্যম। এই সকল গল্পগুলির নীতিমূলক শিক্ষাগুলিকে আমাদের সন্তানের মধ্যে সংস্থাপিত করার মাধ্যমে তাদের শিক্ষিত করে তোলার ক্ষেত্রেও প্রায়শই এই গল্প কাহিনীগুলি আমাদের সহায়তা করে থাকে। আমরা আমাদের সন্তানদের উপর যে জ্ঞান প্রদান করি তা মা-বাবা হিসেবে আমাদের পাওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। কখনও কখনও গল্পগুলির মধ্যে নির্জীব বস্তুগুলি কিম্বা পশু পাখির ব্যবহারের দ্বারা এর নীতি শিক্ষাগুলি বাচ্চাদের দেওয়ার ক্ষেত্রে গল্পগুলিকে বেশ মজাদার এবং বর্ণনাযোগ্য করে তোলা যেতে পারে। নীতিমূলক গল্পগুলি হল শিশুর জীবনের একটি মূল উপাদান কারণ এটি তাদের একটি দৃঢ় নৈতিক চরিত্র গড়ে তুলতে এবং তাদের মধ্যে ধীরে ধীরে এর গুণাবলীকে অন্তর্নিহিত করতে সহায়তা করে। এটি বলা হয়ে থাকে যে একটি শিশুর মন হল উচ্চ মাত্রায় সংবেদনশীল এবং শৈশবকালে আপনি তাদের মধ্যে যে সকল মূল্যবোধগুলিকে স্থাপন করবেন বা প্রবেশ করাবেন সেগুলি তাদের মধ্যে সারা জীবনের জন্য থাকবে। শিশুদের নীতিশিক্ষা মূলক গল্পগুলি পড়ালে তা আবার তাদের কথা বলার দক্ষতা বৃদ্ধি করে এবং তাদের মধ্যে সৃজনশীলতা বোধ জাগ্রত করতে উৎসাহ যোগায়। শিশুদের ক্রিয়াকলাপের জন্য আপনি এমন এক সম্ভার হাতের কাছে রাখুন যার মধ্যে থাকবে সুন্দর সুন্দর নৈতিক গল্পসমগ্র এবং মজার মজার গল্পগুলি তাদের সামনে পড়ার মাধ্যমে আপনার সন্তানদের মধ্যে তাদের ভালো মূল্যবোধগুলিকে অন্তর্ভূক্ত করুন। ‘টুকুর ড্রাগন বন্ধু’ গল্পের বইটি তেমনি একটি প্রয়াশ। ১. বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান সমাজে শান্তি নিয়ে আসে। ২. যে যেখানে আছে, সেখানেই তার থাকা উচিত। অন্যেরটা দেখে আফসোস করার কিছু নেই। ৩. যার স্থান যেখানে, তার সেখানেই থাকা উচিত। ৪. সুন্দর ব্যবহার ও ভালো কাজ মানুষকে আরও সুন্দর করে তোলে। ৫. বিধাতার প্রদত্ত নির্দিষ্ট ক্ষমতার বাইরে কেউ কিছু করতে পারে না। ৬. সৌরজগত বিধাতার অপূর্ব এক সৃষ্টি। পৃথিবী সৌরজগতের ক্ষুদ্র একটা অংশ, আর আমরা মানুষরা, সেই পৃথিবীর নগন্য অংশ। এমনি ৬টি নীতিশিক্ষামূলক গল্পের আয়োজন ‘টুকুর ড্রাগন বন্ধু’ বইটিতে।
মির্জা নুসরাত লিন্ডা ,জন্ম আঠারোই জুলাই ময়নমনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলায় , শৈশব কেটেছে সেখানেই পিতার নাম মির্জা রায়হান , মাতার নাম জাহানারা ফেরদৌস ,এক ভাই মির্জা রাহাত ফুলপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ,মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে বিজ্ঞানে উচ্চমাধ্যমিক ,এবং সরকারি আনন্দমোহন কলেজ থেকে , অর্থনীতিতে অনার্স ও ঢাকা ইডেন মহিলা কলেজ থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স এ প্রথম শ্রেণী লাভ করেন এরপর ঢাকা উত্তরা আইন কলেজ থেকে এল, এল , বি ,ডিগ্রি লাভ করে বর্তমানে কোর্টে প্রাকটিস করছেন সংসার জীবনে এক সন্তানের জননী নাম জুয়াইরিয়াহ হোসেন ,স্বামী শাহরিয়াত হোসেন সাহিত্য অঙ্গনে অগ্রযাত্রার মূল প্রেরণা জুগিয়েছেন তিনি তার লেখা বই বুদ্ধির জুড়ে খাবার পেলো কুমির, ফটাস করে ফুটলো ব্যাঙ ,বোকা বিড়াল চালাক ইঁদুর , এবং টুকুর ড্রাগন বন্ধু বাংলার ইতিহাস ,ইতিহাসের মানুষ ,বিশাল বাংলার মিথ , লোকজীবন ,লোকসংস্কৃতি ,বঞ্চিত মানুষের সুখ দুঃখের পাঁচালি তার গল্প উপন্যাসে ভিন্ন রকমের মাত্রা নিয়ে উপস্থিত হয়। এবারের বইমেলা 2022 এ আসছে মুক্তিযুদ্ধ ও বিধবাকথন।