সাধুগুরুরা বলেন, ‘যা আছে ব্রহ্মা-ে তাই আছে দেহ ভা-ে।’ তাই ব্রহ্মা-কে জানতে গেলে আগে নিজেকে জানতে হয়। সেটাই সহজ পথ। একেই ভিন্ন ভাষায় বলে, ‘নো দাইসেলফ’ বা ‘নিজেকে জানো’। এই নিজেকে জানার নানা মত-পথ দিয়ে গেছেন সাধুগুরু-জ্ঞানীগুণীজনরা। বলা হয়, নিজের মাঝে সকল কিছুই থাকে সুপ্ত অবস্থায়। লেহাজ করে তা জেনে নিতে হয় মাত্র। এরজন্য যেমন রয়েছে কৃচ্ছতা সাধন; তেমনি রয়েছে সহজ পথ। রয়েছে বিভিন্ন পরিবেশ- পরিস্থিতি-মনোস্থিতিতে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার-উপলব্ধির পথ। আর জীবনের চলার পথে নিজেকে চিনে নেয়ার কথাই ‘মাই ডিভাইন জার্নি’। যে যাত্রায় প্রত্যেকেই যাত্রী। আর প্রশ্নও তো নির্দিষ্টÑআমি কে? কোথা থেকে এসেছি?? কেনো এসেছি??? যে আমার আমিকে আজ পর্যন্ত চিনতেই পারলাম না... জানতেই পারলাম না... তার কি পরিচয় দিবো? তারপরও বলতে গেলে বলতে হয়, সেই আমার আমিকে খুঁজে চলার যে যাত্রা তাই আদৌতে ‘মাই ডিভাইন জার্নি’। ‘আমি কে?’ এই প্রশ্নের পেছনে ছুটতে যেয়ে যে অভিজ্ঞতা, উপলব্ধি তাই এই বইয়ের উপজীব্য। এই সব অক্ষর-শব্দ-ভাবের মধ্যে দিয়ে পাঠক যদি নিজেকে নতুন রূপে খুঁজে পাওয়ার বা নতুন করে ভাববার পথ পায় তাহলেই এর সার্থকতা। সাঁইজি বলেছেন- ‘সামান্যে কি তার মর্ম জানা যায়। হৃদকমলে ভাব দাঁড়ালে অজান খবর আপনি হয়॥’