ফ্ল্যাপে লিখা কথা একজন শিক্ষিত মানুষের জীবনে চাকুরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি মানুষই চায় একটি সনামধন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে, ক্যারিয়ার গড়তে ও জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে। স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পরই প্রতিটি বাবা মা আশা করে থাকেন যে তাদের আদরের সন্তান, যাকে নিয়ে রয়েছে তাদের অসীম আশা, যার মাঝে দেখতে পায় বিপুল সম্ভবনা, সে নিশ্চয়ই একটি ভালো চাকরি পাবে। কিন্তু সত্যি কি শুধু পুঁথিগতবিদ্যা কিংবা ডিগ্রি থাকলেই সোনার হরিণ নামক চাকরি পাওয়া সম্ভব?
যারা শিক্ষাজীবনে খুব ভালো ফলাফল অর্জন করেছেন, দেথকে শুনতেও ভালো, ইংরেজিতে ভালো কথা বলতে পারেন, লিখতেও পারেন ভাল, কম্পিউটার পরিচালনায় আছে যথেষ্ট দক্ষতা,এমন কি লিখিত পরীক্ষায়ও উত্তরে আসতে পারে, তবু কেন চাকরির বাজারে হাজারো লোকে ভিড়ে পিছিয়ে পড়েন তারা বার বার। হন্যে হয়ে শুধু ঘুরতে থাকেন চাকরির জন্য। তবুও চাকরি আর পান না। কি অর্থ আছে এই হন্যে হয়ে ঘুরে চলার? কি চায় আসলে চাকরিদাতারা? কেমন প্রার্থী খোঁজেন তারা? কিভাবে জীবন বৃত্তান (সিভি) যাচাই বাছাই করা হয়? ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রার্থীকে সত্যিকারে কীভাবে মূল্যায়ন করা হয়? কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে একজন চাকরি প্রার্থীর, যাতে তিনি সহজেই পেতে পারেন একটি চাকরি? তদবিরই কি বড় যোগ্যতা চাকরি পাওয়ার বেলায়? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে এই বইটিতে। জানতে ও জানাবার প্রয়াস নিয়ে লেখা হয়েছে ‘চাকরি পাওয়ার কৌশল : সাফল্যের ১০১ টিপস’। আমাদের জানতে হবে, বুঝতে হবে আর সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। যারা মাত্র পড়াশোনা শেষ করে বেরিয়েছেন,খুব শ্রীঘ্রই পাস করতে যাচ্ছেন, কিংবা চাকরি পরিবর্তনের ইচ্ছা আছে মনে, তাদের জন্য এই বইটি অন্তত একবার পড়ে দেখা একান্ত আবশ্যক।
স্বপ্ন যাদের অনেক বড়-মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, টেলিকম সেক্টর, ব্যাংকিং, হাউজিং কিংবা মিডিয়ার মত সম্ভাবনাময় সেক্টরে কাজ করার এবং ক্যারিয়ার গড়ার, তাদের সবাইকে একটি সঠিক পথ নির্দেশনা দিতে পারবে এই বইটি।
আমার কথা চাকরি পাওয়ার কৌশল : সাফল্যের ১০১ টিপস বইটি লেকার সময় আমার লক্ষ্যই ছিল সকল পুরাতন ধ্যান-ধারণার বাইরে বেরিয়ে এসে নতুন কিছু করার, সবাই কে নতুন কিছু জানাবার। আমি চেষ্টা করেছি শুধু নিজের ধ্যান-ধারণা আর অভিজ্ঞতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে পেশায় সফল ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে, তাদের কাছে পৌঁছতে। যদিও তাঁর পেশায় অত্যন্ত সফল, প্রায় সবাই দেশের সুপ্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড-কোম্পানীতে উর্ধ্বতন পদে অধিষ্ঠিত, পেশার প্রতি রয়েছে তাঁদের অনেক আন্তরিকতা ও একনিষ্ঠতা, সর্বোপরি তাঁদের রয়েছে স্তুপ পরিমাণ কর্মব্যস্ততা, তবুও তাঁরা আমার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, বলেছেন অনেক অজানা কথা, যা কিনা সত্যি প্রার্থী বাছাই এর ক্ষেত্রে করা হয়ে থাকে।
পেশায় সফল ব্যক্তিরা খুবই খোলামেলাভাবে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ও অভিজ্ঞতার কথা ব্যক্ত করেছেন, যা কিনা সচরাচর তাঁরা কোথাও বলেন না বা প্রকাশ করা হয় না। কিন্তু চাকরি পাওয়ার বেলায় এসব কিছু জানা ও অনুসরণ করা একান্ত প্রয়োজনীয়।
আমার সম্পূর্ণ প্রচেষ্টার মূলেই ছিল যুগোপযোগী নতুন কিছু করার। কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে যারা কাজ করতে চান কিংবা কোথাও না কোথাও কাজ করছেন, বইটি তাঁদের উপকারে আসলেই আমার পরিশ্রম ও প্রচেষ্টা সার্থক হবে বলে মনে করি। সজীব সাহা ঢাকা ১.২.২০১০