‘প্রেমপিয়াসী’ প্রথম প্রেমের এক অপূর্ব উপাখ্যান। দুইজোড়া গাঢ়সবুজ হৃদয়ের কুসুমকোমল উপলব্ধি, আনন্দবেদনার অন্দরমহল। ভরা জোছনায় নক্ষত্রের বনে হারিয়ে যাওয়ার তুমুল হাতছানি। মধ্যবিত্তের যাবতীয় পরিস্থি’তির মুখোমুখি দাঁড়ানো অসংখ্য চরিত্র আর তাদের প্রেমজ আলাপন। বিশেষকরে, অল্পবয়সী নায়ক- নায়িকা, যৌবনের কথকতা ও প্রকৃতিবন্দনা। যদিও সববয়সী পাঠকের বই তবুও, প্রেমপিয়াসী তরুণদেরকে প্রচন্ডভাবে প্রভাবিত করবে। বন্ধুপ্রতিম লেখক ফরিদুল মাইয়ান অতি চমৎকারভাবে আমাদেরকে সেসব দৃশ্যই নতুন করে চিনিয়েছেন যা আমাদের চেনা জীবনেরই সুদূর অতীত। তারুণ্যের ফেলে আসা দিনের স্মৃতি রোমন্থ’নের সুন্দর এক অভিজ্ঞতা এই উপন্যাস। মফস্বলের শহরতলি ও গ্রামীণ জীবনসংলগ্ন প্রেক্ষাপট লেখক অত্যন্ত সরলভাবে তুলে ধরেছেন। লেখকের বিশ্লেষণের রংতুলিতে ফুটে উঠেছে প্রচলিত সমাজব্যবস্থায় প্রেমের পরিপন্থি’ অভিভাবক এবং তাদের সনাতন দৃষ্টিভঙ্গি। লেখক হিসেবে তিনি সব্যসাচী স্বভাবের। লিখছেন সববিষয়ে, সাহিত্যের প্রতিটি শাখায়। কমবেশি সবকিছুই ভাল লিখেন, বুঝে লিখেন। তবে, উপন্যাসে তার গল্প বলার ক্ষমতা ও চরিত্রবর্ণন লেখক সমাজে তাকে ঈর্ষণীয় অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের বহুলপরিচিত জনপ্রিয়ধারার আদলে উপন্যাস লেখার দীক্ষা তিনি বেশ রপ্ত করেছেন। একইভাবে ধারাবাহিকতা রক্ষা করে লিখে চললে, আগামীতে নিঃসন্দেহে আমরা আরও একজন জনপ্রিয়ধারার লেখক পেতে যাচ্ছি। আমাদের কথাসাহিত্যে আগামীর একজন মুগ্ধকরের নাম হতে পারে ফরিদুল মাইয়ান।