অনেকের মতোই শখের বশে ছাত্রজীবনে ম্যাগাজিন, স্মরণিকা, চিঠিপত্র কলাম, ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন দিয়ে শুরু লেখালেখি। ক্রমান্বয়ে খবরের কাগজে রিপোর্টিং কিংবা ফিচার আর্টিকেল। প্রকাশনা জগতে নবীনদের তিক্ত অভিজ্ঞতা, অবহেলা কিংবা পরবর্তীতে সরকারি চাকরির বিধানাবলির যথাযথ এবং অমূলক শঙ্কা ছাপিয়ে নীরবে-নিভৃতে লেখালেখিকে ভালোবেসে যাওয়া সিকদার আনোয়ার তার লেখায় মানুষ, সমাজ আর ন্যায়বোধকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন বরাবর। অনিয়ম আর অসংগতির-সরব নীরব প্রতিবাদ আছে মৃদু বা কঠোরভাবে তার কলমে। তার প্রকাশিত সাতটি গ্রন্থ এবং পত্রপত্রিকা, সাময়িকী কিংবা জার্নালে প্রকাশিত সব ক্ষেত্রেই সামাজিক দায়বদ্ধতার বাইরে তিনি যাননি বা যেতে পারেননি। তার লেখায় কখনো বা কিছু তথ্য থাকে, তবে তা বিরক্তি উদ্রেক করে না, ঘটনার বিবরণ বা আকৃতি-প্রকৃতি বোঝাতে বাহুল্য বিশেষণ থাকে না, বোধ আবেগ প্রকাশে মেদবর্ধক শব্দ থাকে না, যা সাধারণের জন্য সুখপাঠ্য এবং সহজবোধ্য। এ গ্রন্থে সামাজিক দায়বদ্ধতার দৃষ্টিকোণ থেকে লেখকের প্রশিক্ষণ অভিজ্ঞতাপ্রসূত মনোবেদনা বিবৃত হয়েছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপলব্ধি সম্ভবত এই যে, এমন একজন খুঁজে পাওয়া যাবে না, যিনি প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করেন; কিন্তু প্রশিক্ষণকে কার্যকর করার, বাস্তবে গুরুত্ব দেওয়ার বা প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্টদের সম্মান ও যথাযথ মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায় না। এ উক্তির সমর্থন পাওয়া যাবে এ গ্রন্থে। প্রশিক্ষণবিষয়ক যে কোনো গ্রন্থ থেকে এর ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য প্রিয় পাঠকের নজরে পড়বে সহজেই।